হতে পারে দ্বিধাগ্রস্ততা, মনোযোগের সমস্যা, মানসিক সতর্কতার অভাব ইত্যাদি।
Published : 13 Nov 2019, 03:08 PM
গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ করার সময় হঠাৎ করেই মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেয়, সহজ বিষয়টা বুঝতেও যেন অনেক বেগ পেতে হয়। কিছু সময়ের জন্য মাথা যেন খালি হয়ে যায়। সাধারণ ঘটনা মনে হলেও চিকিৎসকরা একে ‘ব্রেইন ফগ’ বলে থাকেন। যে কারণে হতে পারে দ্বিধাগ্রস্ততা, মনোযোগের সমস্যা, মানসিক সতর্কতার অভাব ইত্যাদি।
যারা এই সমস্যায় ভুগেছেন তারাই জানেন এটি কতটা বিরক্তিকর আর এর মুল কারণ জড়িয়ে থাকতে পারে হরমোনের সঙ্গে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এই ধরনের সমস্যায় তিন রকম হরমোনের প্রভাবের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হল।
থাইরয়েড: মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে ‘থাইরয়েড’ হরমোনের অভাব। ‘থাইরয়েড’ গ্রন্থি পর্যাপ্ত হরমোন তৈরি না করলে আপনি হয়ে উঠতে পারেন ভুলোমনা। সাধারণ বিষয় নিয়ে চিন্তা করতেও মস্তিষ্কের চাপ অনুভব করতে পারেন। কারণ এই হরমোনে অভাবে মস্তিষ্ক যেকোনো বিষয় সামলাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি সময় নেয় এবং তার সাড়া দেওয়া বিলম্বিত হয়। সেইসঙ্গে মস্তিষ্কের জ্ঞান ধারন করার ক্ষমতাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই হরমোনের অভাবে। অন্যান্য ঝুঁকির মধ্যে আছে ওজন বৃদ্ধি, শারীরিক দুর্বলতা, হতাশা, মেজাজ খিটখিটে থাকা এবং শীত সহ্য করতে না পারা।
কর্টিসল: দৈনন্দিন জীবনে সবাই কমবেশি মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যান। তবে তা যদি কারও প্রতিদিনের নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয় তাহলে মাথা ঘোলাটে মনে হওয়ার হয়ত সেটাই কারণ। অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি করে ‘কর্টিসল’, যার কারণে দেখা দেয় ‘ব্রেইন ফগ’। ‘কর্টিসল’ হরমোনের ভারসাম্য রাখা সামান্য জটিল। কারণ তা কম হলেও সমস্যা আবার বেশি হলেও সমস্যা। এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে আরও দেখা দিতে পারে মানসিক অস্বস্তি, হতাশা, স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া ইত্যাদি। মানসিক জটিলতার পাশাপাশি কোষের ‘মাইটোকন্ড্রিয়া’কে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে ভারসাম্যহীন ‘কর্টিসল’য়ের মাত্রা, যা পক্ষান্তরে শরীরকে দুর্বল বানিয়ে দেয়।
ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টিন: বয়স ৪০ পেরোনোর পরে নারীদের সাধারণ একটি সমস্যা এই ‘ব্রেইন ফগ’। আর এর প্রধান কারণ হল নারীদের শরীরে ‘ইস্ট্রোজেন’ ও ‘প্রোজেস্টিন’ হরমোনের তারতম্য। এই দুই হরমোনের তারতম্য মনোযোগ ধরে রাখাকে অত্যন্ত দুষ্কর করে তোলে। সেই সঙ্গে আছে ওজন বৃদ্ধি, মেজাজ খিটখিটে থাকা, রাতে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া ইত্যাদির সমস্যাও।
তাই এই ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শে হরমোন পরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক চিকিৎসা-ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রতীকী ছবির মডেল: চৈতি।
আরও পড়ুন