দূষণের বৃদ্ধি, আবহাওয়ার পরিবর্তন, চাপ ইত্যাদি নানান কারণে গলা ব্যথা দেখা দিতে পারে। প্রাকৃতিক কিছু উপাদান যেমন- মধু, রসুন, গরম্ পানিতে কুলকুচি করা ইত্যাদি গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
খাদ্য ও পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে গলা ব্যথা দূর করার কয়েকটি খাবার সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হল।
আদা চা: গলা ব্যথা কমানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল আদা-চা। যদিও আদা চায়ের ব্যাগ বাজারে পাওয়া যায় তবুও চাইলে পানি ফুটিয়ে তাতে তাজা আদা কুচি বা গুঁড়া মিশিয়ে নিতে পারেন। আদার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী উপাদান কফ ও ঠাণ্ডা দূর করে। এর জিঞ্জারোলস নামক বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে ঠাণ্ডা ও গলা ব্যথার মতো সমস্যা দূর হয়।
গাজরের সুপ: সুপ ও ঝোল কাশি দূর করার জন্য বেশ কার্যকর। কারণ এতে আছে সবজির পুষ্টিগুণ। এক্ষেত্রে গাজরের সুপ খুব ভালো ভূমিকা পালন করে। গাজরে আছে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে গলা ব্যথার বিরুদ্ধে কাজ করে। এছাড়াও এতে আছে বিটা ক্যারোটিন। গাজর কাঁচা খেলে তা গলা ব্যথা আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে রান্না করা গাজর গলা ব্যথায় চমৎকার ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
ডিম ভাজি: শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন প্রোটিন ও পর্যাপ্ত ভিটামিন বি। এই উপাদান সমৃদ্ধ খাবার গলা ফোলা ও ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। সিদ্ধর চাইতে গলা ব্যথার সময় ডিম ভাজি বা ডিমের সঙ্গে মাখন বা দুধ ফেটিয়ে রান্না করে খাওয়া সহজ। এরসঙ্গে শুলফা বা তুলসি মিশিয়ে খাওয়া হলে আরও বেশি সুস্বাদু হয়। আর ভালো কাজ করে।
ওটমিল: গরম ওটমিল কেবল হজমে সহায়ক নয় বরং তা শস্য হওয়াতে পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধও। আঁশ, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি এবং লৌহ সমৃদ্ধ যা শরীর সুস্থ রাখতে ও আরাম প্রদান করতে সহায়তা করে। শুধু ওটমিল খেতে ভালো না লাগলে এর সঙ্গে পছন্দসই বেরি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি মেশাতে পারেন। এতে শরীরে বাড়তি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি যোগ হবে।
আরও পড়ুন