পেটের মেদ কমাতে তিন খাবার

না খেয়ে নয় বরং সকালের নাস্তায় চাই তিন ধরনের খাবার যা পেটের মেদ কমাতে সহায়ক।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Oct 2019, 10:05 AM
Updated : 30 Oct 2019, 10:05 AM

খাদ্যাভ্যাস থেকে চিনি বাদ দেওয়া, ব্যায়াম করা কিংবা বুঝেশুনে চর্বিজাতীয় খাবার বাদ দিয়ে পেটের মেদ কমাতে চেষ্টা করেন অনেকেই। তবে মেদ ঝরানোর নামে যারা সকালের নাস্তা একেবারেই করেন না তাদের ক্ষেত্রে এসব প্রক্রিয়া মাঠে মারা যেতে পারে।

পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অ্যাকাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিকস’ এর মুখপাত্র নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ লিবি মিল্স বলেন, “ব্রেইক ফাস্ট’ মানেই হলে ফাস্টিং অর্থাৎ না খেয়ে থাকার পর প্রথম খাবার গ্রহণ করা। আর সেটা সকালের খাবারের জন্যই প্রযোজ্য।”

তিনি আরও বলেন, “বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকার ফলে আমাদের শরীর এক ধরনের চাপে পড়ে। ফলে কর্টিসল হরমনোন বৃদ্ধি পায়, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে এবং ইন্সুলিন নিঃসরণ হয়। যখন শর্করা অতি দ্রুত কোষের মধ্যে যেতে থাকে তখন শরীর সেটা চর্বি হিসেবে জমা করতে থাকে, বিশেষ করে পেটে।”

তাই বলে সকালের নাস্তায় যা খুশি খাওয়া পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে না।

মিল্স বলেন, “প্রক্রিয়াজাত খাবার ও চিনি বাদ দিতে হবে। বাজারে পাওয়া যায় এরকম ‘সিরিয়াল’ অনেকেই নাস্তা হিসেবে গ্রহণ করেন। যাতে খুব অল্প পরিমাণেই আঁশ থাকে। ফলে পেট ভরা অনুভূতি হয় কম। আবার এই খাবার চিনি মিশিয়ে খেলে শরীরে চর্বি জমতে থাকে।

তাই সকালের নাস্তায় বেছে নিতে পারেন নিচের খাবারগুলো।

শুঁটিজাতীয় খাবার: শিমের দানা, মটরশুঁটি, কড়াইশুঁটি- অর্থাৎ ‘বিন্স’জাতীয় খাবার প্রোটিন ও আঁশ সমৃদ্ধ। সঙ্গে রয়েছে উদ্ভিজ্জ শর্করা। ডিম কিংবা কুচিকরা মাংসের সঙ্গে দানাদার খাবার খাওয়া উপকারী। সঙ্গে থাকতে পারে অপক্রিয়াজাত শষ্যের থেকে তৈরি রুটির টোস্ট।

আধা কাপ শুঁটিজাতীয় খাবারে সাধারণত সাত গ্রাম প্রোটিন এবং পাঁচ গ্রাম আঁশ থাকে।

বাদাম: এই খাবারও আঁশ ও প্রোটিন সমৃদ্ধ। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন অতিরিক্ত আধা ‘সার্ভিং’ বাদাম খায়, চার বছরে তাদের ওজন বেড়েছে কম।

সবুজ খাবার: পত্রলসবজির মধ্যে পালংশাকে থাকে সাধারণত ২৮ গ্রাম ভিটামিন সি, যা প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি কমাতে পারে রক্তচাপ ও কর্টিসলের মাত্রা। আর এই শাক ম্যাগনেসিয়ামের ভালো উৎস, যা কর্টিসল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

মিল্স বলেন, “সবুজ শাকসবজিতে যেসব প্রোবায়োটিক রয়েছে তা পেটের ভালো ব্যাক্টেরিয়ার জন্য উপকারী। পেটে অতিরিক্ত খারাপ ব্যাক্টেরিয়া থাকা স্বাস্থ্যহানীর কারণ হতে পারে। যা থেকে বাড়তে পারে দেহের ওজন।”

অনেকই হয়ত সকালে শাকসবজি খেতে পছন্দ করেন না। তবে মিল্স পরামর্শ দেন যে, ডিমের সঙ্গে লেটুস পাতা কিংবা পালংশাকের সঙ্গে রসুন বা পুদিনার ভর্তা হতে পারে স্বাস্থ্যকর সকালে নাস্তা।

আরও পড়ুন