এতে রয়েছে ভিটাইন বি, ক্যালসিয়াম, জিংক, পটাশিয়াম এবং লৌহ। উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধক এবং রয়েছে কার্যকর নির্যাস যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ত্বক ভালো রাখতে মধুর নানান উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হল।
যে ধরনের মধু উপকারী: নিউ ইয়র্কে’র হেইডে প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ ত্বক বিশেষজ্ঞ লিয়ানা কাটরোন জানান, মধুর সব চেয়ে ভালো দিক হল সব ধরনের মধুই উপকারী।
যে মধুর রং যত গাঢ় তাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ তত বেশি। তাই অপ্রক্রিয়াজাত খাঁটি মধু ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। নানান রকমের মধু যেমন- ফুল ও ভৌগলিক ভিন্নিতার জন্য হরেক রকমের মধু পাওয়া যায়। তাই সবসময় প্রাকৃতিক মধু গ্রহণ করা ভালো।
কাটরোনের মতে, বাজারে কিনতে পাওয়া যাওয়া মধু প্রক্রিয়াজাত ও পরিশোধিত। আঞ্চলিক মধু ঘন, খাঁটি ও তাজা হয়ে থাকে।
দা ইউনিক ম্যানোকা ফ্যাক্টর হানি অ্যাসোসিয়েশন (ইউএমএফ), ন্যাশনাল হানি বোর্ড এবং লোকাল হানি ফাইন্ডার – এই তিনটি আঞ্চলিক মধু পাওয়ার ভালো উৎস।
দৈনিক ত্বক পরিষ্কারক হিসেবে মধু: মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিসেপ্টিক এবং ব্যাক্টেরিয়ারোধী উপাদান ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। এটা লোমকূপ উন্মুক্ত করে এবং বিরক্তিকর ব্ল্যাকহেডস থেকে দূরে রাখার পাশাপাশি সারাদিন ত্বক আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
মুখ কুসুম গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে আধ চা-চামচ মধু মুখে গোলাকারভাবে মালিশ করুন। ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন এবং ত্বকের স্বাভাবিক যত্ন নিন।
প্রাকৃতিক এক্সফলিয়েটর: মধু খুব ভালো এক্সফলিয়েটর। এটা ব্যবহারে ত্বকের অস্বস্তিকর জ্বালাভাব দূর হয়। মধু মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন অথবা এর সঙ্গে অ্যাভোকাডো, লেবু বা অ্যাপল সাইডার মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন।
প্রথমে ত্বক ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নিন। এরপর ত্বকে পাতলা করে মধুর প্রলাপ লাগান এবং ৮ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং আলতো চাপ দিয়ে মুখের পানি মুছে নিন। সপ্তাহে দুএকবার ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
ব্রণের জন্য উপকারী: মধু ত্বকের ব্রণ দূর করতে কার্যকার ভূমিকা পালন করে। এর প্রদাহরোধী উপাদান ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে এবং প্রতিদিন ব্যবহারে ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখে। এছাড়াও ত্বকের কড়া দাগ ও ‘ব্রেক আউট’ দূর করতে এমনকি ত্বকের খারাপ অবস্থা- একজিমা বা সিরোসিস উপশমেও মধু সহায়তা করে। মধুর আরামদায়ক ক্ষমতা দ্রুত ত্বকের ক্ষতি সারিয়ে নিতে পারে।
বয়সের ছাপ দূর করে: এর প্রোবায়োটিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পুষ্টি উপাদান এবং নির্যাস একসঙ্গে কাজ করে ত্বককে মসৃণ, টানটান ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। মধু ত্বককে তৈলাক্ত না করেই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। মধু সম্পূর্ণভাবে বলিরেখা কমাতে না পারলেও এর দৃশ্যতা কমাতে সহায়তা করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের ক্ষয় পূরণ করে। ফলে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ দেখা দেয় না।
মনে রাখা দরকার
- অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে মধু ব্যবহার বেশ সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
- মধু ত্বকে ব্যবহারের পরে অবশ্যই তা ঠিক মতো ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। কারণ লোমকূপে মধু আটকে থাকলে তা থেকে ‘ব্রেইক আউট’ বা ব্রণ দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন