নিয়মিত শরীরচর্চা যেমন স্বাস্থ্য ভালো রাখে, তেমনি মনও রাখে প্রফুল্ল। ঘাম ঝরানো হচ্ছে উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার অন্যতম পন্থা। তবে সে জন্য চাই শরীরচর্চার আগে ও পরে ত্বকের সঠিক যত্ন।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতীয় রূপ-বিশেষজ্ঞ সিমা নন্দার পরামর্শ অনুযায়ী এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হল।
চুল বেঁধে নেওয়া: চুলের দৈর্ঘ্য যেমনেই হোক না কেনো, নারীদের উচিত শরীরচর্চার আগে চুলে বেঁধে নেওয়া। ‘পনিটেইল’, বেণি কিংবা ছোট করে কাটা চুল হলে ‘ক্লিপ’ কিংবা ‘পিন ব্যবহার করা যেতে পারে। লম্বা চুল রাখেন এমন পুরুষদেরও উচিত চুল বেঁধে নেওয়া। তবে চুল একেবারে ঢেকে রাখা উচিত হবে না, তাতে ভেতরে ঘাম জমে বাজে গন্ধ হতে পারে। যা দিয়ে চুল ঢেকে রাখবেন তা ঘামে ভেজা অবস্থায় লম্বা সময় ত্বকের সংস্পর্শে থাকবে। ফলে কপালে ব্রণ দেখা দিতে পারে। শরীরচর্চার আগে চুলে কোনো প্রসাধনী ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
মুখ স্পর্শ না করা: ব্যায়ামাগার হোক কিংবা ঘরে, ব্যায়াম করার সময় যন্ত্রপাতির জীবাণু হাতে লেগে যায়। এই হাত দিয়ে মুখ স্পর্শ করলে ব্রণ এবং সংক্রমণজাতীয় সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যতক্ষণ শরীরচর্চা করবেন হাত দিয়ে মুখ স্পর্শ করা চলবে না। ঘাম মোছার জন্য পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে।
মেইকআপ নিষিদ্ধ: শরীরচর্চার আগে মুখ থেকে সব ধরনের মেইকআপ মুছে ফেলতে হবে। কারণ মেইকআপের সঙ্গে ঘাম মিশে তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। ফলাফল হতে পারে ত্বকের অস্বস্তি, ব্রণ, ফুসকুড়ি। খোলা আকাশের নিচে ব্যায়াম করার আগে অবশ্যই ‘সানস্ক্রিন’ ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হওয়ার ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে তা ত্বকে প্রয়োগ করতে হবে, যাতে ত্বক ঠিক মতো শুষে যেতে পারে।
মুখ পরিষ্কার: শরীরচর্চার শেষে গোসল করার সুযোগ না থাকলে অন্তত মুখ-হাত ধুয়ে নেওয়া আবশ্যক। মৃদুমাত্রার ‘ফেইসওয়াস’ ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই। মুখের ত্বক ঘাম মুক্ত থাকলে লোপকুপ আটকে গিয়ে ব্রণ দেওয়ার আশঙ্কা কমে।
শুধু মুখ নয় পুরো শরীরের ত্বকেরই যত্ন প্রয়োজন। তাই দ্রুত ঘামে ভেজা কাপড় পাল্টে ফেলতে হবে। ঘামের ক্ষতিকর জীবাণু গায়ের কাপড় শুষে নেয় যা পরে লোপকুপ আটকে দিতে পারে। ফলে হতে পারে ফুসকুড়ি। তাই অবশ্যই গোসল করতে হবে।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন