স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে গর্ভাবস্থায় পা ফোলার সমস্যা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানানো হল।
সোডিয়াম গ্রহণের মাত্রা কমান: গর্ভাবস্থায় ফোলাভাব কমানোর সহজ উপায় হল লবণ গ্রহণের হার কমানো। কারণ লবণ গ্রহণ শরীরে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখে।
তাই খাবারে বাড়তি লবণ খাওয়া বা ‘ক্যানজাত’ খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ স্বাদ বাড়াতে এতে অনেক বেশি সোডিয়াম বা লবণ থাকে।
পটাশিয়াম গ্রহণ: পটাশিয়ামের অভাবে শরীরে তরলের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন- আলু, কলা, পালংশাক, মটর, টক দই, স্যামন মাছ ও ডাল-জাতীয় খাবার খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে।
ক্যাফেইন গ্রহণের পরিমান কমান: যদি চা বা কফি পছন্দ হয় তাহলে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে শরীর থেকে পানি মূত্রাকারে বের হয়ে যায়। ফলে শরীর নিজেকে পানি ধরে রাখার নির্দেশ দেয়। ভেষজ চা যেমন- পুদিনাসহ নানা রকমের ভেষজ যা সকালের দুর্বলতা কমায়, এই ধরনের চা পান করা যেতে পারে।
নিজেকে আর্দ্র রাখুন: শুনতে আজব লাগতে পারে। তবে এটাই সত্যি, পানি পান শরীরের ফোলাভাব কমায়। শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দিলে তার ঘাটতি পূরণের জন্য শরীর তরল নিঃসরণ শুরু করে। ফলে পা ফোলার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পা বিশ্রামে রাখা: সময় পেলেই পা খানিকটা উঁচু টুলে বা বালিশের ওপর রেখে বিশ্রাম নিতে হবে। গর্ভবতীদের জন্য অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করা বেশ কষ্টকর। পা উঁচু অবস্থায় রেখে বিশ্রাম নিলে পায়ে তরল জমা হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
মালিশ করা: গর্ভাবস্থায় পা ফোলার সমস্যা দেখা দিলে পা মালিশ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এতে তরল সঞ্চালন সঠিকভাবে হয়। ফোলা ভাব কমে আসে। আরাম পেতে পায়ে ল্যাভেন্ডার বা পুদিনার তেল মালিশ করতে পারেন।
বাম পাশ ফিরে ঘুমানো: বাম পাশ ফিরে ঘুমালে শরীরে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে। যা পা ফোলা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এভাবে ঘুমালে জরায়ুর উপর চাপ কম পড়ে।
আরও পড়ুন