শিশুর অতিরিক্ত ওজন বাড়াতে পারে অ্যালার্জির ঝুঁকি

গবেষণায় দেখা গেছে বিশেষ কোনো খাবার থেকে অ্যালার্জি বা একজিমাতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অধিক ওজনের শিশুদের বেশি।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2019, 11:44 AM
Updated : 21 Oct 2019, 12:25 PM

‘জার্নাল অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিকাল ইমিউনোলজি’তে প্রকাশিত এই গবেষণার জন্য গবেষকরা পর্যালোচনা করেছেন মানবশিশুর উপর করা একাধিক গবেষণার তথ্য।

অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাডেলাইডা’র অধ্যাপক ক্যাথি গ্যাটফোর্ড বলেন, “১৫ হাজারেরও বেশি গবেষণা বাছাই করে আমরা ৪২টি গবেষণা পাই যেখানে আছে প্রায় ২০ লাখ অ্যালার্জিতে আক্রান্তের তথ্য। সেখান থেকে আমরা পর্যালোচনা করেছি জন্মের সময়কার ওজনের সঙ্গে সম্পর্ক, মাতৃগর্ভে থাকার ব্যাপ্তি এবং শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়া ঘটনা।”

তিনি আরও বলেন, “গবেষণায় দেখা যায়, জন্মের সময় শিশুর ওজন স্বাভাবিকের চাইতে এক কিলোগ্রাম বেশি হলে তার খাবারে অ্যালার্জি দেখা দেওয়া আশঙ্কা বাড়ে ৪৪ শতাংশ আর একজিমাতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে ১৭ শতাংশ। প্রতি কিলোগ্রাম বাড়তি ওজনের সঙ্গে ঝুঁকির হার বাড়তে থাকে একই হারে।”

গবেষকদের মতে, তাদের পর্যালোচনার আওতায় থাকা গবেষণাগুলোতে ছিল প্রায় ২০ লাখ একজিমা আক্রান্ত রোগী। বিভিন্ন খাবার থেকে অ্যালার্জিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭০ হাজারেরও বেশি। আর প্রায় ১ লাখের ছিল ‘অ্যালার্জিক রাইনাইটিস’ বা অ্যালার্জির কারণে হওয়া সর্দি। এদের মধ্যে সিংহভাগই ছিল বিভিন্ন উন্নত দেশে বসবাসকারী শিশু, বিশেষত ইউরোপে।

গ্যাটফোর্ড বলেন, “বিশ্ব জনগোষ্ঠির প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষ একজিমা, খাবারে অ্যালার্জি, হাঁপানি ইত্যাদি অ্যালার্জিজনিত রোগের শিকার। একথা পরিষ্কার যে শুধু জিনতত্ব দিয়ে অ্যালর্জির ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়। জন্মের আগে ও পরে শিশুর আশপাশের পরিবেশ তার অ্যালর্জিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে অনেকাংশে প্রভাবিত করে।”

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন