প্রতিবার খাবার গরম করার সময় রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে।
Published : 20 Oct 2019, 07:27 PM
বর্তমান ব্যস্ত সময়ে প্রতিবেলায় রান্না করা বেশ মুশকিল। তাই অনেকেই একবারে দুই বেলার রান্না করে রাখেন ও পরে গরম করে খান। অনেকে আবার না চাইলেও খাবার বেশি থেকে যাওয়ার কারণে গরম করে খেতে হয়।
পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে খাবার পুনরায় গরম করে খাওয়া কতটা নিরাপদ সে সম্পর্কে জানানো হল।
যে কারণে খাবার পুনরায় গরম করা উচিত না: খাবার ভালো ব্যাক্টেরিয়া দিয়ে পূর্ণ থাকলেও, পুনরায় গরম করার সঙ্গে সঙ্গেই তাতে বিষক্রিয়া শুরু হয় এবং নানা রকম রোগের সৃষ্টি করে। যেমন- ভাতে থাকে ‘স্পোর্স’ নামক ব্যাক্টেরিয়ার বীজগুটি থাকে, যা রান্নার পরেও নষ্ট হয় না।
রান্না করা ভাত ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দিলে এর স্পোর্স থেকে ব্যাক্টেরিয়ার বিস্তার ঘটে। আর পুনরায় গরম করার সঙ্গে সঙ্গে তা বিষাক্ত হয়ে বমি ও ডায়রিয়ার সৃষ্টি করে।
একইভাবে সবুজ সবজি, পাতাবহুল শাক যেমন- পালং, ধনেপাতা ইত্যাদি লৌহ ও নাইট্রেইট সমৃদ্ধ। পুনরায় গরম করা হলে নাইট্রেইট পরিণত হয় নাইট্রাইটস’য়ে যা খাবারকে ক্যান্সার তৈরির উপাদানে পরিণত হয়। তাই এসব খাবার পুনরায় গরম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
যেসব খাবার কখনই পুনরায় গরম করা ঠিক না
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন আলু, মুরগি, ভাত, মাশরুম, ডিম, ধনেপাতা এবং বিটরুট কখনই দ্বিতীয়বার গরম করা ঠিক না।
বিশেষজ্ঞদের মতে
ভারতীতের বেঙ্গালুরুর রন্ধনশিল্পী প্রিয়াঙ্ক মনে করেন, কোনো খাবারই পুনরায় গরম করে খাওয়া ঠিক না। খাবার দ্বিতীয়বার গরম করার সঙ্গে সঙ্গেই এর পুষ্টিগুণ হারানো শুরু করে। কারণ খাবার পুনরায় গরম করার অর্থ যে, যে তাপমাত্রায় খাবারটি রান্না হয়েছে, সেটা তাপমাত্রার ওপর আবার তাপ প্রয়োগ করা।
সমাধান
খাবার যাতে না বাঁচে সেজন্য পরিমিত রান্নার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। খাবার বাড়তি থাকলে আবদ্ধ বাক্সে করে রেফ্রিজারেটরে রাখা উচিত। আর পরেরবার খাওয়ার সময় গরম না করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসা পর্যন্ত অপেক্ষার পর খাওয়া উচিত।
আরও পড়ুন