খাবার নষ্ট আর নয়

উপায় জানা থাকলে খাবারের উচ্ছিষ্ট কাজে লাগানো যায়।

লাইফস্টাইলডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2019, 07:56 AM
Updated : 18 Oct 2019, 07:56 AM

প্রতিদিন রান্নার জন্য খাবারের অনেক অংশই ফেলে দেওয়া হয় যা পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। এসব উপাদান ভীন্নভাবে রান্না করে খাবারের স্বাদ ও সৌন্দর্য বাড়ানো যায়।

জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ফেলে দেওয়া সবজি বা খাবার ভিন্নভাবে ব্যবহার করার উপায় সম্পর্কে জানানো হল। 

তরমুজ: তরমুজের মিষ্টি লাল অংশ মজাদার ফল হিসেবে খাওয়া হয় বাকি অংশ ফেলে দেওয়া হয়। এই অংশ ফেলে না দিয়ে তার সঙ্গে চিনি, অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ও অন্যান্য মসলা মিশিয়ে তৈরি করা যায় মজাদার আচার বা চাটনি। বাড়তি পাওনা হবে ভিটামিন সি।

আলুর খোসা: আলুর খোসা একটি মোটা করে কেটে তেল, লবণ, পছন্দসই মসলা দিয়ে ভেজে মজাদার চিপ্স নিজেই তৈরি করতে পারেন।

পাস্তার পানি: পাস্তা সিদ্ধ করা পানিতে থাকে প্রাকৃতিক শ্বেতসার এবং পুষ্টি উপাদান। পাস্তার পানি দিয়ে সুপ তৈরি, সস বা চাটনি-সহ খাবারের স্বাদ বাড়াতে পাস্তার পানি ঝোল হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

মাশরুম: মাশরুমের কাণ্ড বা বোঁটা ঘরে রান্না করা খাবারের স্বাদ বাড়াতে সহায়তা করে। ঘরে বানানো সুপ বা সবজিকে মজাদার ও ঘন করতে মাশরুমের সিদ্ধ পানি বা স্টক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

টক ফলের খোসা: কমলা, লেবু অথবা আঙ্গুর জাতীয় ফল শরবত, আচার, সালাদ পরিবেশন এবং বেইক করা খাবার পরিবেশন করতে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও এসব ফলের খোসা ভাত বা এই ধরনের খাবারের সুঘ্রাণ সৃষ্টিতে সহায়তা করে।

ব্রকলির ডাঁটা: ব্রকলি কেবল পাতাবহুল অংশ মজাদার তা নয় এর ডাঁটাও খেতে বেশ মজাদার। খাঁটি তেল দিয়ে এর ডাটা ভাজা হলে তা রান্না করা খাবার, সুপ এবং ভাজা হিসেবে খাওয়া যায়। এটা খাবারের সৌন্দর্য ও স্বাদ বাড়াতেও সাহায্য করে।   

গাজরের খোসা: গাজরের খোসাও খাওয়া যায়। এটা উচ্চ পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। গাজরের খোসা উন্নত আঁশ এবং বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ। এটা সুপ, সালাদ, জুস ও স্মুদি তৈরি-সহ নানান মিষ্টি-জাতীয় খাবারেরও ব্যবহার করা হয়। 

আসল কথা হল

বর্তমানে খাবার নষ্ট করা এই পৃথিবীব্যাপী অন্যতম একটা সমস্যা। তাই খাবার নষ্টের হার কমাতে এবং ভিন্ন ভিন্ন খাবারের স্বাদ পেতে উচ্ছিষ্ট খাবারগুলোকে ভিন্নভাবে ব্যবহার করা যেতেই পারে।

আরও পড়ুন