মানুষ পর্যাপ্ত পানি পান করতে ব্যর্থ হয় যার একটি বড় কারণ ভুলে যাওয়া।
Published : 14 Oct 2019, 03:33 PM
এমনকি হাতে কাছেই পানির বোতল থাকলেও নানান কাজের ভিড়ে গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু ছোট এই কাজ করতে আমরা প্রায়শই ভুলে যাই।
পানি পানের গুরুত্ব ও উপকার সম্পর্কিত আলোচনা কারও কাছেই নতুন নয়।
পানি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আমাদের শরীরের জন্য। আর্দ্রতা বজায় রাখা, জৈবিক উপায়ে কর্মশক্তি উৎপাদন, শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান অপসারণ, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখা এবং শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা সবকিছুতেই প্রয়োজন পানি।
তাই পানি পানের কথা কীভাবে মনে রাখা যায় সেবিষয়েই কিছু পরামর্শ জানানো হল স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।
চা-কফির আগে পানি: বিশেষ শারীরিক সমস্যা না থাকলে প্রতিদিন প্রতিটি মানুষই চা, কফি পান করেন। দুই কাপ থেকে শুরু করে ১০ কাপ বা তারও বেশি চা-কফি পান করা হয় কারও। প্রতিবার চা কিংবা কফি পান করা আগে একগ্লাস পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে প্রতিদিনের পানির চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ করতে পারবেন অনায়াসে। এছাড়াও তা তৃষ্ণা মেটানো ও আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতেও বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।
ঝাল খাওয়ার পর পানি: এটা আপনার মনে রাখার প্রয়োজন হবে না, ঝাল খাবার পর সব কাজ বাদ দিয়ে হলেও ছুটে গিয়ে একগ্লাস পানি পান করবেন। ব্যাপারটাকে ভিন্ন আঙ্গিকে চিন্তা করলে তাকে পানির চাহিদা মেটানোতে সহায়ক করে তুলতে পারেন। খাদ্যাভ্যাসে ঝালজাতীয় খাবার বেশি রাখলে পানি পানের আগ্রহ বাড়বে এবং পানির চাহিদাও পূরণ হবে। তবে ঝাল ও মসলাদার খাবার বেশ মুখোরোচকও বটে, তাই পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত ঝাল খাবার খাওয়ার নানা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও আছে।
অ্যাপের সাহায্য নেওয়া: মোবাইল ফোন প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের সঙ্গে থাকে। তাই এই মোবাইল যদি পানি পানের কথা মনে করিয়ে দেয় তবে ব্যাপারটা কিন্তু দারুণ হয়। আর এই দারুণ ব্যাপারটাকে বাস্তব করার জন্য অসংখ্য অ্যাপ রয়েছে যা প্রতিদিন আট থেকে ১০ গ্লাস পানি পান নিশ্চিত করবে ‘অ্যালার্ম’ কিংবা ‘রিমাইন্ডার’য়ের মাধ্যমে। শুধু মোবাইল নয়, প্রযুক্তির অগ্রগতির কল্যাণে আজকাল পানির বোতলও আপনাকে পানি পান করার কথা মনে করিয়ে দিতে সক্ষম। তবে এই প্রযুক্তি আপনার মায়ের মতো কানে ধরে পানি পান করাবে না, তাই ‘রিমাইন্ডার’ পাওয়ার পর তাকে অবহেলা করলে সবই বৃথা।
ঘুমানোর আগে পানি: সকালে উঠে পানি করার অভ্যাস হয়ত রপ্ত করে ফেলেছেন, তবে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটু পানি পান করার কথাটা হয়ত ভুলে গেছেন। সকালে পানি পান করতে পারেন আর না পারেন রাতে ঘুমানোর আগে পানি করাটা কিন্তু আরও বেশি জরুরি। এমনকি সকালে পানি পানের ঘাটতি পুষিয়ে দিতে পারে রাতে ঘুমানোর আগে পানি পানের অভ্যাস। তাই বলে ঘুমানোর আগে কয়েক গ্লাস পানি একবারে পান করে ফেললে কিন্তু হবে না, মাঝে বিরতি থাকতে হবে। আর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়া বিষয়টিও কিন্তু মাথায় রাখতে হবে।
পানীয়তে বরফ: ঠাণ্ডা পানীয় কার না ভালো লাগে, আর বরফ বেশি ব্যবহার করলে পক্ষান্তরে কিন্তু পানি পানের পরিমাণই বাড়ছে। চারটি বরফে প্রায় আধা গ্লাস পরিমাণ পানি মেলে। তাই স্বাদ নষ্ট না করে পানীয়তে বেশি করে বরফ ব্যবহার করতে পারেন।
অন্যরকম ভাবনা: পানি পান করার বিষয়টাকে মজার করে তুলতে পারেন। যেমন নানান ধরনের পানির বোতল ব্যবহার করতে পারেন। শুধু পানি ভালো না লাগলে তাতে লেবু মিশিয়ে স্বাদে ভিন্নতা আনতে পারেন। কাজের ফাঁকে কয়েক মিনিট বিরতি নিয়ে হাঁটতে হাঁটতেও পানি পান করতে পারেন।
আরও পড়ুন