পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, একই তেল বার বার রান্নায় ব্যবহার করলে ক্যান্সার ও হৃদরোগ-সহ অন্যান্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে।
ক্ষতিকারক বিষাক্ত উপাদান: কিছু উদ্ভিজ্জ তেল যেমন- সূর্যমুখি বা ভুট্টার তেল উচ্চ পরিমাণে ‘অ্যাল্ডেহাইডেস’, বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান থাকে যা ক্যান্সার, হৃদরোগ, আলৎঝাইমার’স, স্মৃতিভ্রংশ ও পারকিনসন’স রোগের সূত্রপাত ঘটায়।
ফোর-হাইড্রোঅক্সি-ট্রান্স-টু-নমিনাল (এইচএনই) নামক আরেকটি বিষাক্ত উপাদান উদ্ভিজ্জ তেল পুনরায় গরমের মাধ্যমে নিঃসৃত হয়। যা ডিনএ, আরএনএ এবং প্রোটিনের কার্যকারিতায় বাঁধার তৈরি করে।
ট্রান্স ফ্যাট বৃদ্ধি করে: রান্নার তেলে থাকে ‘ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড’ যা পুনরায় গরম করা হলে আরও বৃদ্ধি পায়। ‘স্যাচুরেইটেড ফ্যাট’য়ের চেয়েও বেশি ক্ষতিকারক ‘ট্রান্স ফ্যাট’। এটা কেবল খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না বরং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ফেলে। ফলে পারকিনসন’সয়ের মতো রোগ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার এবং যকৃতে সমস্যা দেখা দেয়।
দুর্গন্ধ সৃষ্টি: তেল পুনরায় গরম করা হলে এর রাসায়নিক পরিবর্তন হয়। এতে ক্ষতিকারক উপাদান সৃষ্টি করার পাশাপাশি দুর্গন্ধও তৈরি হয়। এবং স্বাদে আসে পরিবর্তন।
ক্ষতিকারক প্রভাব: তেল পুনরায় গরম করার ফলে ‘অক্সিডেইশন’, ‘হাইড্রোলাইসিস’ এবং ‘পলিমারাইজেশ’য়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যা উদ্বায়ী যৌগ ও ‘মনোমেরিক’ এবং ‘পলিমেরিক’য়ের মতো বিষাক্ত উপাদান সৃষ্টি করে। এ কারণে খাবারে বাজে স্বাদ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়।
তেল নিরাপদভাবে পুনরায় গরম করা যায়, যদি
তেল পুনরায় গরম করা হলে তা শরীরে নানান ক্ষতি করে। তবে পুনরায় তেল গরম করা যাবে যদি প্রথমবার বেশি গরম করা না হয়। আর সেই তেল অনেকদিন সংরক্ষণও করা যায়।
তেল ভালো রাখতে এতে যেন খাবারের কণা জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কোনো খাবার ভাজার আগে লবণ মেশানো যাবে না। কারণ তেল গরম হয়ে পুড়ে যে অবস্থায় ধোঁয়া উঠতে সেই অবস্থার সময়টা কমিয়ে দেয় লবণ।
আর গরম তেল থেকে যখনই ধোঁয়া বের হওয়া শুরু করবে তখনই সেটা হবে রান্না বা খাওয়ার জন্য অনিরাপদ।
ছবি: আসাদুজ্জামান প্রামানিক
আরও পড়ুন