কর রেয়াত জানার উপায়

কর রেয়াত করদাতার করের পরিমাণ অনেকাংশে কমিয়ে থাকে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Sept 2019, 06:51 AM
Updated : 9 Sept 2019, 06:51 AM

তবে এই কর রেয়াত সুবিধা ভোগ করতে হলে আয়কর আইনে উল্লেখিত খাতে বিনিয়োগ করতে হয়। আবার, বিনিয়োগের পাশাপাশি সমাজ সেবামূলক কাজ করেও তার উপর কর রেয়াত পাওয়া যায়। অর্থাৎ অনুদান দিয়েও কর রেয়াত সুবিধা ভোগ করা যায়।

তবে অবশ্যই এক্ষেত্রেও আয়কর আইনে উল্লেখিত খাতে আনুদান দিতে হবে।

২০১৯-২০ বাজেটে আয়কর রেয়াত হারে পরিবর্তন এসেছে। আগে কর রেয়াত গণনার জন্য তিনটি হার ছিল। তবে এখন থেকে কর রেয়াত বের করতে হলে দুইটি হারের মধ্যে যেকোনো একটি হার ব্যবহার করতে হবে।

তাহলে এখন কীভাবে আয়কর রেয়াত গণনা করবেন?

আয়কর আইন অনুযায়ী, কর যোগ্য আয় যদি ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয় তাহলে আপনার বিনিয়োগকৃত টাকার উপর ১৫% কর রেয়াত পাওয়া যাবে।

আর যদি কর যোগ্য আয় ১৫ লাখ টাকার বেশি হয় তাহলে বিনিয়োগকৃত টাকার উপর ১০% কর রেয়াত পাবেন।

এর ফলে যাদের আয় বেশি তারা যেমন একদিকে বেশি হারে কর দিচ্ছেন আবার অন্যদিকে কর রেয়াত সুবিধা কম ভোগ করছেন। এর ফলে করের পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। অর্থাৎ তাদের দুই দিক থেকেই করের পরিমাণ বাড়বে।

আর যাদের আয়ের পরিমাণ কম তারা বেশি সুবিধা পাবেন এবং করের ভার একটু লাগব হবে। তাই কেউ কেউ বলতে পারেন, আয় বৈষম্য এখানে হ্রাস পাবে।

যখন কর রেয়াত গণনা করবেন তখন আপনাকে বিনিয়োগকৃত টাকা বের করতে হবে। আগে যে বিনিয়োগ খাতগুলো ছিল এ বছর একটি খাত বাদ দেওয়া হয়েছে।

খাতটি হল, বহুল জনপ্রিয় কম্পিউটার/ল্যাপটপ খাতে বিনিয়োগ।

কম্পিউটার খাতে ৫০ হাজার টাকা এবং ল্যাপটপ খাতে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ সুবিধা পাওয়া যেত। দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার যেসব সুবিধা দিয়ে আসছিল তার মধ্যে এটিও ছিল।

প্রতি বছর ব্যক্তি করদাতাদের আয়কর রিটার্ন তৈরির উপর কর্মশালায় আমাকে সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নগুলো করা হয় তারমধ্যে একটি হল কম্পিউটার/ল্যাপটপ সংক্রান্ত।

যেমন, ‘গত বছর আমি কম্পিউটার/ল্যাপটপ দেখিয়েছি। এ বছরও কি কম্পিউটার/ল্যাপটপ খাতে বিনিয়োগ দেখিয়ে কর রেয়াত সুবিধা পাবো?’

একবারই এই সুবিধা পাওয়া যাবে না বারবার এই সুবিধা পাওয়া যাবে তা আয়কর আইনে স্পষ্ট করা হয়নি। আর এই অস্পষ্টতার মধ্যেই এই সুবিধা বন্ধ হয়ে গেল।

তবে কর রেয়াতের দুইটি সুবিধা আছে। একদিকে বিনিয়োগ করে, করের পরিমাণ লাঘব করা যায়। আর অন্যদিকে প্রতি বছর অল্প অল্প করে বিনিয়োগ করে যেতে থাকলে একটা সময় পরে বড় একটা অংক একসঙ্গে পাওয়া যায়।

লেখক: জসীম উদ্দিন রাসেল। পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও আয়কর-বিষয়ক কর্মশালার প্রশিক্ষক।