স্বস্তির কফি যখন অস্বস্তির কারণ

শরীর চাঙ্গা করতে সকালের কফি বাড়াতে পারে মানসিক অস্বস্তি।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Sept 2019, 09:35 AM
Updated : 5 Sept 2019, 09:35 AM

সারাদিন ব্যস্ত সময় পার করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে এক কাপ কফি যেন আদর্শ। তবে উপকারের থেকে তার অপকারের মাত্রাই বেশি যদি আপনার থাকে মানসিক অস্বস্তির সমস্যা।

মানসিক স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মনোবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে জানানো হয়- প্রতি মুহূর্ত দুশ্চিন্তায় কাটানো, সামান্য ঘটনাতেই বিচলিত বা মেজাজ গরম হয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে ‘জেনারালাইজড অ্যাংজাইটি ডিজওর্ডার (জিএডি)’য়ে আক্রান্ত হওয়া। ‘প্যানিক অ্যাটাক’য়ের মতো মারাত্বক ঘটনা হয়ত ঘটবে না, তবে এই ‘জিএডি’ ভোগাতে পারে দীর্ঘদিন।

কফির ভূমিকা: কফি ও চা দুটোতেই থাকে ‘ক্যাফেইন’, যা কাজ করে প্রাকৃতিক স্নায়বিক উদ্দীপক হিসেবে। মস্তিষ্ক উদ্দীপ্ত করার মাধ্যমে শরীরকে ‘ফাইট অর ফ্লাইট’ পর্যায়ে নিয়ে যায় এই উপাদান। এছাড়াও ‘কর্টিসল’ নামক হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে ‘ক্যাফেইন’।

তবে যারা মানসিক অস্বস্তি বা হতাশাগ্রস্ততায় ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে এই ‘ক্যাফেইন’ স্বাভাবিক মাত্রায় গ্রহণ শরীরে বিপত্তি ঘটায়। এক কাপ কফি হয়ত আপনাকে সতর্ক করে তুলবে, তবে অতিরিক্ত কফি অস্বস্তির মাত্রা বাড়িয়ে দেবে।

শরীরে কফির স্থায়ীত্বকাল: সকালবেলায় পান করা কফি বিকেলেও আপনার শরীরের কার্যকর থাকতে পারে। ‘আমেরিকান একাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিন’য়ের মতে, কফির অর্ধেক জীবনকাল হল তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা।

অর্ধেক জীবনকাল হল শরীরে কোনো উপাদানের ঘনত্ব অর্ধেকে নেমে আসার সময়কাল। অর্থাৎ সকালে পান করা ২০ মি.লি. গ্রাম কফির মধ্য থেকে ১০ মি.লি.গ্রাম শরীরে বিদ্যমান থাকবে তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা পরেও।

আর গড় হিসেবে এক কাপে কফিতে ৯৫ থেকে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত ক্যাফেইন থাকে।

কফির পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া: হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে যাওয়া, মেজাজের আকস্মিক পরিবর্তন, মাথা ঝিমঝিম করা, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, অনিদ্রা, দপদপানি মাথাব্যথা ইত্যাদি অতিরিক্ত কফি পানের কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া।

করণীয়: কফি পানের কারণে যদি মনে হয় ঘুমের স্বভাব নষ্ট হচ্ছে কিংবা মানসিক অস্বস্তি দেখা দিচ্ছে তবে প্রতিদিন কী পরিমাণ কফি পান করছেন তা পরিমাপ করতে হবে।

‘ক্যাফেইন’ আছে এমন যে কোনো কিছু খাওয়ার পর কেমন অনুভূতি হয় তা চাইলে ডায়রিতে লিখে রাখতে পারেন।

রাতে ঘুমানোর আগে চা-কফি, কোমল পানীয় পান থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ তা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। শরীর চাঙা করতে সকালে কফি পান এড়ানো না গেলে কফির পরিবর্তে উষ্ণ লেবু পানি পান করার অভ্যাস করা যেতে পারে।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন