হুক্কাও ক্ষতিকর

হুক্কার মাধ্যমে ধূমপান সিগারেটের মতোই ক্ষতিকর।

লাইফস্টাইল ডেস্ক আইএএনএসবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2019, 10:50 AM
Updated : 21 August 2019, 10:50 AM

কালের বিবর্তণে হুক্কা আধুনিক হয়েছে, লেগেছে প্রযুক্তি ছোঁয়া, পাল্টেছে চেহারা, বেড়েছে জনপ্রিয়তাও। তবে কমেনি তার ক্ষতির মাত্রা।

গবেষকরা বলছেন, ধূমপানের অন্যান্য সকল মাধ্যমের চাইতেও বেশি ক্ষতিকর হতে পারে হুক্কা।

এই গবেষণার জন্য বিশেষ এক পরীক্ষামূলক হুক্কা তৈরি করেন ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা। এর মাধ্যমে পরিমাপ করা হয় একটি গড়পড়তা হুক্কার আসলে কী পরিমাণ ধোঁয়া মানুষ গ্রহণ করে।

দেখা যায়, একবার হুক্কার প্রতিটানেই সিগারেটের সমপরিমাণ বিষাক্ত উপাদান শরীরে প্রবেশ করে।

গবেষণার প্রধান, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার ভেরোনিক পেরাড বলেন, “হুক্কার ধোঁয়া সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছায়। এতেও থাকে ‘নিকোটিন’ যা তামাকে আসক্তি তৈরি করে, শরীরে তৈরি করে ক্ষতিকর ‘কার্বোনিল’ ধরনের উপাদান ও ‘বেনজিন’, দুটোই ‘কারসিনোজেনিক’ বা ক্যান্সার রোগের কারণ।”

তিনি আরও বলেন, “হুক্কার প্রতিটানে সিগারেটের তুলনায় বেশি ধোঁয়া শরীরে প্রবেশ করে এবং তা তুলনামূলকভাবে বেশি সময় ধরে পান করা হয়। আর একারণেই সিগারেটের চাইতে বেশি মাত্রায় রাসায়নিক উপাদান ছড়াতে পারে হুক্কা।”

হুক্কা থেকে প্রচুর পরিমাণে ‘কার্বন মনোক্সাইড’ তৈরি হয়, বিশেষ করে কয়লা পোড়ানো তাপ দিয়ে তামাক ও অন্যান্য উপদান পোড়ানো হয় বলেই এমনটা হয়। ‘অ্যারোসল সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ নামক জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় কয়েকটি ‘কার্বন মনোক্সাইড’জনীত বিষক্রিয়ার ঘটনা তুলে ধরে।

তামাক ছাড়াও গবেষকরা ‘নিকোটিন’ নেই এমন ভেষজ উপাদানও হুক্কায় ব্যবহার করে গবেষণা চালান। দেখা যায় তা আরও বেশি ক্ষতিকর বাষ্প নির্গমণ করে।

হুক্কা থেকে নির্গত ধোঁয়া থেকে ১০০ ন্যানোমিটারের চাইতেও ছোট ব্যাসার্ধের ‘আল্ট্রা-ফাইন পার্টিকেল’ চিহ্নিত করেন গবেষকরা, যা এবারই সর্বপ্রথম।

হুক্কার আসর চলার সময়ে তৎক্ষণাত হুক্কা থেকে নির্গত বাষ্পের রাসায়নিক মিশ্রণ পরীক্ষা করা হয়।

গবেষকরা বলেন, “আসরের শুরু, মধ্যবর্তী এবং শেষ- সবগুলো পর্যায়ে হুক্কা থেকে নির্গত ধোঁয়া আমরা পরীক্ষা করেছি। দেখা গেছে আসরের প্রথম ১০ মিনিট ধূমপায়ীরা সবচাইতে বেশি ‘আল্ট্রা-ফাইন পার্টিকেল’য়ের শিকার হয়েছে। এই ক্ষুদ্র কণা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বড় হুমকি। কারণ তারা শ্বাসতন্ত্রের অনেক গভীরে প্রবেশ করতে পারে এবং রক্ত পেরিয়ে মস্তিষ্কে পৌঁছে যেতে পারে।

আরও পড়ুন