ঘাড় ব্যথা নিরাময়ের ব্যায়াম

সহজ কয়েকটি ব্যায়াম ঘাড়ের ব্যথায় আরাম দিতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 August 2019, 06:13 AM
Updated : 9 August 2019, 06:13 AM

শিক্ষার্থী কিংবা কর্মজীবী, প্রায় সবারই ঝুঁকি আছে ঘাড় ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার কিংবা ঘাড়ের পেশি শক্ত হয়ে যাওয়ার। শোয়া-বসার অবস্থানের সমস্যা বা ‘ব্যাড পশ্চার’, দীর্ঘ সময় বসে থাকা, একটানা ঘাড় বাঁকা করে স্মার্টফোন চালানো ইত্যাদি অসংখ্য কারণ আছে এই ঘাড় ব্যথা হওয়ার পেছনে।

এছাড়াও মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা, পেশিতে টান পড়া ইত্যাদিও ঘাড় ব্যথা হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ঘাড়ের ব্যথা কমানোর কয়েকটি ব্যায়াম সম্পর্কে এখানে ধারণা দেওয়া হল।

ঘাড় ব্যথা সাধারণত দুই ধরনের। ‘অ্যাকিউট’ বা স্বল্প সময়ের জন্য কিংবা ‘ক্রনিক’ বা দীর্ঘমেয়াদী।

যে ধরনেরই হোক না কেনো ব্যথা তীব্র হলে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক এসময় পরামর্শ দেবেন কিছু ব্যায়ামের। দীর্ঘমেয়াদী ঘাড় ব্যথার চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপিই সবচাইতে সফল।

ব্যথা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ঘাড়ের পেশির স্থিতিস্থাপকতা ও শক্তি বাড়ায় ফিজিওথেরাপির এই ব্যায়ামগুলো।

ঘাড় ঘোরানো: ধীরে ধীরে ঘাড় যে কোনো একদিকে ঘোরাতে হবে এবং সেভাবেই ধরে রাখতে হবে পাঁচ থেকে সাত সেকেন্ড। চেষ্টা করতে হবে ঘাড় ঘোরানোর সময় চোয়াল যেন একই উচ্চতায় থাকে। এবার যেদিকে ঘাড় ঘুরিয়েছিলেন তার উল্টা দিকে ঘাড় ঘোরাতে হবে এবং আবারও পাঁচ থেকে সাত সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে। এভাবে একটানা মোট পাঁচবার ব্যায়ামটি করতে হবে।

উপরে-নিচে ঘাড় বাঁকানো: ঘাড় ব্যথা সারানোর সবচাইতে সহজ ব্যায়াম এটাই। শরীর সোজা রেখে শুধু ঘাড় বাঁকা করে চোয়াল ছোঁয়াতে হবে বুকে। সেভাবে পাঁচ সেকেন্ড থাকতে হবে এবং আবার স্বাভাবিক হতে হবে। এভাবে পাঁচবার ব্যায়ামটি করতে হবে।

ডানে-বামে ঘাড় বাঁকানো: দুই কাধ সোজা রেখে শুধু ঘাড় বাঁকা করতে হবে ডান কাঁধের দিকে, পাঁচ সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে। তারপর কিছুক্ষণ মাথা সোজা রেখে বাম কাঁধের দিকে ঘাড় বাঁকা করতে হবে এবং পাঁচ সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে। আবারও মাথা সোজা। এভাবে করতে হবে পাঁচ বার।

কাঁধ টানটান: শরীর সোজা রাখতে হবে। এবার ঘাড় সামনের দিকে বাড়িয়ে দিতে হবে আর দুই কাঁধ পেছনে টান দিয়ে রাখতে হবে। এই অবস্থান পাঁচ সেকেন্ড ধরে রেখে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে হবে। এই ব্যায়ামও পাঁচ বার করতে হবে।

খেয়াল রাখতে হবে

এই ব্যায়ামগুলো নিয়মিত অনুশীলন করার পরও এক বা দুই মাসে যদি ব্যথা না সারে তবে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। গড় হিসেবে দুই থেকে চার সপ্তাহে ঘাড় ব্যথা সেরে যাওয়া উচিত। সেরে গেলে ব্যথা যেন ফিরে না আসে সেরকম সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।

স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটার যেটাই ব্যবহার করুন না কোনো, ঘাড় বাঁকা না করে যন্ত্রটিকে চোখের সমান্তরালে তুলে আনতে হবে।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন