বেশি পানি পান করলেই যে ত্বক আর্দ্র ও সুন্দর থাকবে এই ধারণা ঠিক নয়।
Published : 07 Aug 2019, 02:32 PM
সুস্থ থাকতে শরীরে পর্যাপ্ত তরল সরবরাহ করা প্রয়োজন। কারণ এই তরলই শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করে, হাড়ের জোড়কে পিচ্ছিল করে, কোষ্ঠকাঠিন্য সারায়, কর্মশক্তি বাড়ায় এবং সার্বিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক দু্ই থেকে তিন লিটার পানি করা উচিত।
ত্বক সুন্দর রাখতেও প্রচুর পরিমাণে পানি করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে অতিরিক্ত পানি পান প্রকৃতপক্ষে কতটুকু ত্বকের উপকারে আসে সেটাই জানানো হলো স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যের আলোকে।
সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। আবার অতিরিক্ত পানি পানেরও আছে ঝুঁকি। তবে পানি পানের সঙ্গে সুন্দর ত্বক পাওয়ার সম্পর্কের কোনো শক্তিশালী বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যা নেই।
মানুষের ত্বকের রয়েছে তিনটি স্তর। বাইরের স্তরটি হল ‘এপিডারমিস’, তারপরের স্তর ‘ডারমিস’ আর তার নিচের স্তরটির নাম ‘সাবকিউটেনাস টিস্যু’।
‘ডারমিস’ স্তরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না থাকলে ত্বক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায় এবং রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বকের উপর পানি পানের এই উপকার ছাড়া ত্বক আর্দ্র রাখতে আর কোনো ভূমিকার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
একটি মাত্র গবেষণা ত্বকের উপর পানি পান করার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ে পর্যালোচনা করেছে। আর তা হলো ইউনিভার্সিটি অফ মিসোরি-ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষণা। যেখানে দেখা যায় মাত্র ৫০০ মি.লি. লিটার পানি পান করলেই ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।
তবে ত্বকের বাহ্যিক সৌন্দর্যের উপর পানি পানের কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।
সুন্দর ত্বকের জন্য
ত্বকের আর্দ্রতা নির্ভর করে ত্বকের পানি ধরে রাখার ক্ষমতার উপর। ত্বক আর্দ্র রাখা যায় দুটি উপায়ে।
প্রথমত ত্বকের জৈবিক তেল। দ্বিতীয়ত, ত্বকে বাহ্যিকভাবে ক্রিম বা লোশনের প্রয়োগ।
ত্বক নরম রাখায় খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খাদ্যাভ্যাস থাকতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে চর্বি আর কমাতে হবে কার্বোহাইড্রেট খাওয়া পরিমাণ।
ত্বক থেকে আর্দ্রতা বাষ্পীভূত করতে সাহায্য করে কার্বোহাইড্রেট।
মনে রাখতে হবে
পর্যাপ্ত পানি পান করা শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য উপকারী। তবে ত্বকের ওপর এর তেমন একটা প্রভাব নেই।
হরমোন, জীনগত বৈশিষ্ট্য, জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চার অভ্যাস, ব্যবহার্য প্রসাধনী ইত্যাদি ত্বকের উপর প্রভাব ফেলবে।
ত্বক ভালো রাখতে রোদ ও অন্যান্য সব ধরনের তাপ থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকতে হবে। মুখ ধোয়া ও গোসলে গরম পানির ব্যবহার কমাতে হবে।
সাবানের পরিবর্তে মৃদু মাত্রার ‘ক্লেনজার’ ব্যবহার করা ভালো। যেসব প্রসাধনীতে অ্যালকোহল আছে সেগুলো বর্জণ করতে হবে।
ত্বক পরিষ্কার করার পর তৎক্ষণাত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
শীতকালে ঘরের বাইরে হাতমোজা ব্যবহার করতে হবে সবসময়।
ছবি: রয়টার্স
আরও পড়ুন