প্লাস্টিকের ব্যবহার জীবনযাপনের অনেক কাজ সহজ করলেও তা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। প্লাস্টিক মাটির সঙ্গে সহজে মেশে না। তাই বাড়িতে ব্যবহার করা প্লাস্টিকের জিনিসপত্রের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশের ক্ষতি রক্ষা করা যায়।
জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ঘরোয়া কাজে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানানো হল।
রেফ্রিজারেইটরের পানির বোতল: কাচ ও স্টেইনলেস স্টিল বোতল ব্যবহার করা খুবই ভালো। সব ধরনের প্লাস্টিকের বোতলের পরিবর্তে কাচ অথবা স্টিলের বোতল ব্যবহার করে পরিবেশ রক্ষায় সহায়তা করা যায়।
প্লাস্টিকের টুথব্রাশ: প্লাস্টিকের টুথব্রাশ কখনই ময়লার সঙ্গে ফেলবেন না, এটা সম্পূর্ণ ধ্বংস হতে চারশ বছর লাগে। প্লাস্টিকের ব্রাশের পরিবর্তে বাঁশের তৈরি ব্রাশসহ ব্যবহার করা যেতে পারে। এটা প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি। তাই সহজেই মাটির সঙ্গে মিশে যায় এবং প্লাস্টিকের ব্রাশের মতোই স্থায়ী হয়।
স্বাস্থ্যকর পানীয়: কার্বোনেইটেড পানীয় বর্জন করুন। এগুলো প্লাস্টিকের বোতলে সংরক্ষণ করা হয়। কোমল পানীয়ের পরিবর্তে তাজা ফলের রস, ডাবের পানি অথবা লেবুর শরবত পান করার চেষ্টা করুন।
এয়ার পিউরিফায়ার: এগুলো মূলত প্লাস্টিকের বোতলে পাওয়া যায় এবং এই ধরনের পণ্য ব্যবহার করা মোটেও ঠিক নয়। এর পরিবর্তে সুগন্ধি আগর ব্যবহার করা যেতে পারে। এর ঘ্রাণ দীর্ঘস্থায়ী, খাঁটি, এবং ভেষজ উপাদানে তৈরি। ফলে পরিবেশের ক্ষতি হয় না।
কাপড় পরিষ্কারে রিঠা: রিঠা খুব ভালো পরিষ্কারক। এটা চুল পরিষ্কার করতে ব্যবহার করা হয়। প্রাকৃতিক উপাদান হওয়ায় এটা কাপড়ের ক্ষতি করে না এবং পানি খরচ কমায়। কারণ রিঠা ব্যবহারের ফলে ডিটারজেন্টের বাড়তি ফেনা দূর করতে অতিরিক্ত পানির প্রয়োজন হয় না।
বাজারের ব্যাগ: প্লাস্টিকের ব্যাগ বাতিল করার পরেও অনেক বিক্রেতা তা ব্যবহার করেন। এই অবস্থা এড়াতে নিজেই একটা কম দামের বাজারের ব্যাগ ব্যবহার করুন। ক্যানভাস কাপড়, পাট বা অন্য যে কোনো প্রাকৃতিক উপাদানের তৈরি ব্যাগ একাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন