সময় ভেদে ব্যথার তীব্রতায় তারতম্য

দিনের বিভিন্ন সময়ে ব্যথার মাত্রায় তারতম্য হওয়াটা স্বাভাবিক। কারণ ব্যথারও রয়েছে ২৪ ঘণ্টার চক্র।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 August 2019, 08:17 AM
Updated : 5 August 2019, 08:17 AM

দিনের একটি বিশেষ সময়ে কি পিঠ ব্যথা বেড়ে যায়? কিংবা ব্যায়ামের কারণে হওয়া ব্যথা দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে কি অসহনীয় হয়ে যায়? এমনটা যদি হয় তবে সেটা মনের ভুল নয়। আর এই ঘটনার নেপথ্যে আছে বেশ জটিল প্রক্রিয়া।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশতি প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যের আলোকে জানানো হল বিস্তারিত।

কেনো এরকম হয়?

ব্যথা শুধু বাহ্যিক বিষয় যেমন আঘাত বা অতিরিক্ত পরিশ্রম ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে না। তার আছে নিজস্ব ২৪ ঘণ্টার সময়চক্র। মস্তিষ্কেরও আছে নিজস্ব চক্র বা ‘সার্কাডিয়ান রিদম’ যা শরীরের ‘সার্কাডিয়ান রিদম’য়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাও চলতে পারে। আর তাই একেক ধরনের ব্যথার আছে একেক ধরনের চক্র।

যারা দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক সমস্যা যেমন ‘মাইগ্রেইন’, বাত, দাঁত ব্যথা ইত্যাদিতে ভুগছেন তাদেরকে সকালবেলা তীব্র ব্যথা সইতে হয়।

তবে যারা ‘নিউপ্যাথিক’ ব্যথা যেমন ‘পো্স্টথেরাপেটিক নিউরালজিয়া’, ‘ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি’, ক্যান্সার ইত্যাদিতে ভুগছেন তাদের ব্যথার তীব্রতা বাড়ে সন্ধ্যা কিংবা রাতে।

রাতে ব্যথা বাড়ার কারণে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে, যা পক্ষান্তরে ব্যথা আরও বাড়িয়ে দেয়। সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রেও ব্যথার তীব্রতার এই তারতম্য হয়।

২০১৫ সালে ইসরায়েলি গবেষকরা একদল পুরুষকে তাপ ও ঠাণ্ডার ব্যথার সংস্পর্শে আনেন দিনের বিভিন্ন সময়ে। দেখা যায় পুরুষরা সকাল বেলা ব্যথার প্রতি কম সংবেদনশীল।

ব্যথার তালে ব্যথা সারানো

দীর্ঘমেয়াদী শরীরিক সমস্যাজনীত ব্যথার চিকিৎসায় চিকিৎসকরা ‘সার্কাডিয়ান রিদম’কে ব্যবহার করেন। একে বলা হয় ‘ক্রোনোথেরাপি’। এতে রোগীকে দিনের একটি বিশেষ সময়ে উচ্চমাত্রার ওষুধ দেওয়া হয় যেসময়ে তীব্র ব্যথা অনুভব করার সম্ভাবনা আছে এবং তাদের রক্তে ওষুধের পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় থাকে।

যেমন, অনেকসময় চিকিৎসকরা বলে দেন সকালে দুটো আর রাতে দুটো ওষুধ খেতে। এতে রোগী রাতে আরামে ঘুমাতে পারবে। দিনের বিভিন্ন সময়ে ব্যথার তারতম্য নিয়ন্ত্রণে এই পদ্ধতি উপকারে আসে।

আরও পড়ুন