বর্ষাকাল মানেই দিনের যে কোনো সময়ই ঝমঝম বৃষ্টি আর রাস্তার মোড়ে মোড়ে জমাট পানি।
সেই পানি টপকে পার হতে গিয়ে শখের জুতায় ভিজতেই পারে। বরং এমন জুতা পরা ভালো যা পানিতে নষ্ট হয়না। এক্ষেত্রে প্লাস্টিকের পাদুকাই ভরসা।
বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের বস্ত্রপরিচ্ছদ ও বয়নশিল্প বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহমিনা রহমান বলেন, “জুতা নির্বাচনে প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে আরামের কথা। আরামদায়ক না হলে কোনো অবস্থাতেই স্বস্তি দেবেনা।”
“বর্ষাকালে যখন তখন বৃষ্টি পড়ে জুতা ভিজে যেতে পারে, তাই রাবার বা প্লাস্টিকের জুতা হতে পারে এই সময়ের আদর্শ পছন্দ।”
তার মতে, কাদা পানিতে পা থেকে খুলে যাবে না এমন জুতা পরা উচিত এবং সেই জুতা রাবার বা প্লাস্টিকের হওয়া বেশি ভালো, এতে সারাদিনে জুতা নিয়ে কোনো রকম দুশ্চিন্তায় পড়তে হবেনা।
তাছাড়া পায়ে পানি ঢুকলে যেন তা সহজে বের হয়ে যায় এবং বাতাস চলাচলে সহায়ক এমন জুতা বর্ষাকালের জন্য ভালো। খোলামেলা হওয়ার কারণে জুতা ভিজলেও পায়ে দুর্গন্ধ হয়না।
অফিস বা কর্মক্ষেত্রে অনেকেই সরাসরি দুই ফিতার স্যান্ডেল পরতে পছন্দ করেন না, সেক্ষেত্রে তারা ক্রক্স, ফ্লিপ, স্লাইডার বেছে নিতে পারেন। এগুলো পরতেও আরাম আর ময়লা কাদা সহজেই ধুয়ে ফেলা যায় বলে ব্যবহার করেও সুবিধা বলে জানান, এই অধ্যাপক।
পুরো পা ঢেকে রাখে এরকম জুতা পরতে না চাইলে পেছনে বেল্ট লাগানো রাবারের জুতা পরা যেতে পারে। এই ধরনে স্যান্ডেল পা থেকে খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বা ছিড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও কম।
বর্তমানে রাবার ও প্লাস্টিকের মোটা সোল ও সামান্য হিল ধর্মী জুতা পাওয়া যায়। যে কেউ চাইলে এগুলোও ব্যবহার করতে পারেন। এইসব জুতা ব্যবহারে রাস্তায় খুব বেশি পানি বা কাদা না জমলে তা পায়ে লাগবে না।
“বর্ষাকালে কোনোভাবেই চামড়ার জুতা পরা ঠিক নয়” পরামর্শ দিলেন শাহমিনা রহমান।
“এতে জুতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পায়ের ত্বকেও নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।”
অনেকেই কাপড়ের ও কেডস ধর্মী জুতা ব্যবহার করে থাকেন বর্ষাকালে। এই ধরনের জুতার ভেতরে পানি ঢুকে পা অনেকক্ষণ ভেজা থাকে, এতে পায়ে দুর্গন্ধ হয় এবং ত্বকে নানান সমস্যা দেখা দেয়।
তাই এই মৌসুমে পা নিরাপদ রাখতে এবং বর্ষাকে নিশ্চিন্তে উপভোগ করতে পছন্দসই রাবার বা প্লাস্টিকের জুতা বেছে নিতে পারেন।
ছবির মডেল: সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।
ছবি: আশরাফ
আরও পড়ুন-