পেশাজীবনে নিরুদ্যম লাগলে

কর্মজীবনের এক পর্যায়ে এসে যদি মনে হয় থমকে গেছে উন্নতি তবে ওপরে ওঠার সিঁড়িটা খুঁজে পাওয়ার পন্থা রয়েছে অনেক।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2019, 01:41 PM
Updated : 27 June 2019, 01:41 PM

পেশাক্ষেত্রে একটা সময় আসতে পারে যখন মনে হয় আর উন্নতি হচ্ছে না। যে কাজে যুক্ত আছেন সেখানে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন এবং নতুন সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন না। কিংবা নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাচ্ছেন না। পদোন্নতি কিংবা বেতন বৃদ্ধিতেও আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ার কারণে কর্মজীবন থমকে গেছে- এমনটা মনে হতে পারে।

জীবনের কোনো কিছুতেই রাতারাতি সাফল্য আসে না। তাই মুখ থুবড়ে পড়া কর্মজীবন গতিশীল করার জন্য করণীয় বিষয়গুলো জানানো হলো জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।

কারণ খোঁজা: কর্মজীবনের উন্নতি থেমে যাওয়ার কারণটা খুঁজে বের করাই হবে প্রথম কাজ। হতে পারে একই কাজ করতে করতে একঘেয়ে লাগছে। কিংবা কাজে নতুনত্ব না থাকায় শেখার কোনো সুযোগ নেই। আবার অনেকদিন পদোন্নতির দেখা মেলেনি কিংবা বেতন সময় মতো পাওয়া যাচ্ছে না। এমন একাধিক কারণ উন্নতির পথে অন্তরায় হতে পারে। আর সেই কারণগুলো খুঁজে বের করতে পারলেই সমস্যার সমাধান বের করা সহজ হবে।

শেখার কোনো শেষ নেই: কর্মজীবনে টিকে থাকার জন্য হয়ত খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয় না, তবে উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখতে হলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই। প্রতিনিয়ত নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে নিজেকে আর বেশি কুশলী করে তুলতে হবে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকেও আধুনিক করে তুলতে হবে। যে বিষয় নিয়ে কাজ করেন সে বিষয়ে দক্ষতা আর দশ জনের চাইতে ভালো হলেই কেবল উন্নতি করতে পারবেন। এজন্য নতুন কোনো সনদ অর্জন, নতুন কোনো কৌশল শেখা, বিভিন্ন কর্মশালায় যোগ দেওয়া ইত্যাদির দিকেও মনোযোগ দিতে হবে।

নতুন সুযোগের সন্ধান: হাতে অন্য কোনো চাকরি না থাকা অবস্থায় বর্তমান চাকরি ছেড়ে আসা বেশিরভাগ সময়েই ভুল সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়ায়। আবার বর্তমান চাকরিতে একঘেয়ে-ভাব চলে আসলে কাজে মনোযোগ রাখাও দুষ্কর। এই অবস্থায় চাকরি থেকে অব্যাহতি না নিয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। বর্তমান প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই নিজের কাজের গণ্ডি পরিবর্তনের ব্যাপারে আলোচনা করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্স: নতুন চাকরি খুঁজে পাওয়া সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আবার পেলেও নতুন কর্মক্ষেত্রের পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়াও একটি গুরুত্বপুর্ণ দিক। এমতাবস্থায় বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে ‘ফ্রিল্যান্সিং’য়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া। এতে বিভিন্ন ধরনের কাজের ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাবেন অবসর সময়ে, পরিবেশটাও হবে নিজের চেনা পরিচিত।

পরিচিতি বৃদ্ধি: কর্মজীবনে মানুষের সঙ্গে পরিচয়, যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কাজের ক্ষেত্র পরিবর্তন, চাকরি পরিবর্তন, নিজের ব্যবসা শুরু করা সবখানেই অন্যান্য পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে পরিচিতি বড় ধরনের ভূমিকা পালন করবে।

সাময়িক বিরতি: এক জায়গায় অনেকদিন কাজ করতে থাকলে সেই জীবনে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। গতবাঁধা জীবনযাপন করতে গিয়ে সেই মানুষটি নিজেই অনেক সময় বুঝতে পারে না এখানে আর উন্নতির সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে অফিস থেকে একটি লম্বা ছুটি নিয়ে বিশ্রামে বসতে পারেন।

গতবাঁধা জীবন থেকে বেরিয়ে আসলে আরও সুযোগ রয়েছে সেটা বোঝা সহজ হবে। আর মাথায় কাজের বোঝা না থাকলে কর্মজীবনে উন্নতি পেলে পরবর্তী সময়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেটাও চিন্তা করতে পারবেন ঠাণ্ডা মাথায়।

হাল ছাড়া চলবে না: জীবন অনেক সময়ই থমকে যায়, তবে সেসময় হাল ছাড়লে চলবে না। বরং তখনই নতুন উদ্যোমে মাঠে নামতে হবে। কর্মজীবনেও ব্যাপারটা এমনই। মনে রাখতে হবে আপনি একা নন, অনেকেই আপনার মতো সমস্যায় ভুগছে। আবার হার মানলেও চলবে না। কারণ আপনার উপর নির্ভর করে আছে আপনার পরিবারও।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন