রক্তদান ও শারীরিক দুর্বলতা

রক্তদান করলে শরীর দূর্বল হয় না, বরং উপকৃত হয়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 June 2019, 09:03 AM
Updated : 21 June 2019, 09:03 AM

রক্ত এবং এর বিভিন্ন উপাদান অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। কারণ তা শুধুমাত্র রক্তদানে সক্ষম ব্যক্তিদের শরীর থেকে সংগ্রহ করা সম্ভব, ইচ্ছেমতো তৈরি করা যায় না।

আবার রক্ত বেশিদিন সংরক্ষণ করাও যায় না। তাই চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান থেকে যায় সবসময়ই।

রক্তদানের মাধ্যমে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচে।

১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সের মধ্যে যে কেউ রক্তদান করতে পারেন। তবে শর্ত হল ওজন হতে ৪৫ কেজির বেশি এবং চিকিৎসকের পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর রক্ত নেওয়ার যোগ্য হতে হবে।

রক্তদানের পর অনেকেরই শরীর দূর্বল হয়ে যায়, যা আসলে ভুল। উল্টো রক্ত দেওয়ার রয়েছে নানান উপকারিতা।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে  ভারতের ম্যাক্স হাসপাতালের ‘ট্রান্সফিউশন মেডিসিন’ বিভাগের পরামর্শদাতা ডা. অভিনব ভার্মার দেওয়া তথ্যের আলোকে জানানো হলো এবিষয়ে বিস্তারিত।

নিয়মিত রক্তদান করলে রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে আসে। রক্তদান করতে ৬৫০ ক্যালরি খরচ হয়, যা ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে। এছাড়াও নতুন রক্তকণিকা উৎপাদনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে রক্তদান।

প্রতিবার রক্তদান করার সময় রক্তদাতা বিনামুল্যে রক্ত পরীক্ষা করাতে পারেন। যার মধ্যে থাকে ‘হিমোগ্লোবিন’ পরীক্ষা, রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা, রক্তের ‘পালস’, তাপমাত্রা, চাপ এবং শরীরের ওজন নির্ণয়।

রক্ত নেওয়ার পর তাতে পাঁচটি রোগের উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়, ‘হেপাটাইটিস বি’, ‘হেপাটাইটিস সি’, ‘এইচআইভি’, ‘সিফিলিস’ এবং ম্যালেরিয়া।

এছাড়াও করা হয় ‘এনএটি (নিউক্লিয়িক অ্যাসিড অ্যাম্প্লিফিকেশন টেস্ট)’, যাতে ধরা পরে রক্তদাতার সাম্প্রতিক সংক্রমণের শিকার হওয়া খবর।

এই পরীক্ষাগুলোয় যে কোনো সমস্যা ধরা পড়লেই রক্তদাতাকে জানানো হয় এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ মেলে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য মতে, একটি জাতির মাত্র ১ শতাংশ মানুষ নিরাপদ রক্তদানে সক্ষম। তাই রক্তদানে মানুষের আরও বেশি আগ্রহী হওয়া উচিত এবং এজন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত অনুপ্রেরণা ও প্রচারণা।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন