সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে সানস্ক্রিন, যা সবারই জানা। ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার আগে এই প্রসাধনী ব্যবহার করা তাই আবশ্যক। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্যকথা।
প্রযুক্তিপণ্য এবং তা থেকে সৃষ্ট ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয়তা প্রতিটি মানুষের শোবার ঘর পর্যন্ত প্রবেশ করে ফেলেছে।
ভারতীয় ত্বক বিশেষজ্ঞ রেশমি শার্মা বলেন, “প্রযুক্তিপণ্যের উপর নির্ভরশীলতা আমাদের ত্বককে অত্যন্ত ক্ষতিকর ‘ব্লু রে’ বা নীল রশ্মির সংস্পর্শে নিয়ে এসেছে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষার পেতে আজ অনেকেই সচেতন, তবে এই প্রযুক্তিপণ্য থেকে নির্গত নীল রশ্মি ত্বকের কী ধরনের ক্ষতি করছে এবং তা থেকে বাঁচার উপায় কী, সে সম্পর্কে ধারণা নেই অনেকেরই।”
তিনি আরও বলেন, “বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দৃশ্যমান নীল রশ্মি ত্বকের জন্য একটি বড় হুমকি। অল্প বয়সে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়া, বলিরেখা, ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যাওয়া, গুরুতর মাত্রায় ‘পিগমেন্টেশন’ বা কালো হয়ে যাওয়া ইত্যাদির পেছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে এই নীল রশ্মি; যার আরেকটি নাম হল ‘হাই-এনার্জি ভিসিবল লাইট’। এটা ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ক্ষতিসাধন করার ক্ষমতা অতিবেগুনি রশ্মির থেকেও বেশি।”
তাই শুধু ঘরের বাইরে নয়, ঘরের ভেতরেও ত্বক সুরক্ষার ব্যবস্থা নিতে হবে নিয়মিত। আর তাই প্রযুক্তিপণ্যে ‘ব্লু লাইট শিল্ড’ ব্যবহার করা এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন রেশমি শার্মা।
ভারতের ‘অর্গানিক হারভেস্ট’য়ের ‘রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ বিভাগের বিশেষজ্ঞ ধার্মা রাজপুত বলেন, “সানস্ক্রিন কেনার সময় দেখতে হবে তাতে ‘কেওলিন ক্লে’ এবং অ্যালো ভেরা আছে কি না। কারণ এই উপদানগুলো ত্বক থেকে দুষিত উপাদান অপসারণ করে এবং দেয় ২৪ ঘণ্টা সুরক্ষা। ‘অর্গানিক সানস্ক্রিন’ ব্যবহার করলে পুরো এক টেবিল-চামচ নিয়ে মুখে মাখতে হবে আর প্রতি দুতিন ঘণ্টা পর পর মুখ ধুয়ে আবার মাখতে হবে।”
আরও পড়ুন