নিত্য অভ্যাসে হাড়ের ক্ষতি

অভ্যস্ত হওয়া অভ্যাসে ক্ষতি হয় হাড়। আজ না হলেও টের পাওয়া যাবে কাল।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2019, 10:57 AM
Updated : 22 May 2019, 10:57 AM

অনেকেরই ধারণা, হাড়ের সমস্যা শুধু মধ্যবয়স কিংবা বার্ধক্যেই হতে পারে। তবে তরুণ বয়সের অনেক অভ্যাস হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা ডেকে আনে, এর মধ্যে আছে অস্টিওপোরোসিস।

চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই রোগের বর্ণনায় বলা হয়েছে, এতে হাড় দূর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। ফলে মধ্য-বয়সে গিয়ে কোনো একটা আঘাত পাওয়ার পরই তা ধরা পড়ে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে হাড়ের জন্য ক্ষতিকর অভ্যাসগুলো সম্পর্কে জানানো হল।

সূর্যালোকের অভাব: সূর্যের আলো হাড়ের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কারণ তা ভিটামিন ডি যোগায়। ভিটামিন ডি শরীরের হাড়কে সুরক্ষা দেয় এবং ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সহায়তা করে। আমেরিকান ন্যাশনাল অস্টিওপোরোসিস ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, ৫০ বছর বয়সের নিচে থাকা প্রতিটি মানুষের দৈনিক ৪শ’ থেকে ৮শ’ আইইউ ভিটামিন ডি প্রয়োজন। আর যাদের বয়স পঞ্চাশের বেশি তাদের চাই ৮শ’ থেকে ১ হাজার আইইউ। তাই সূর্যালোকের মাধ্যমে ভিটামিন ডি’র চাহিদা যাদের পূ্রণ হচ্ছে না তাদের উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ‘সাপ্লিমেন্ট’ গ্রহণ করা।

অলসতা: হাড় যত বেশি নড়াচড়া করবে, ততই শক্তিশালী হবে। তাই শরীরচর্চা শুধু পেশি নয়, হাড় শক্তিশালী করে। হাড় সুস্থ সবল রাখতে চাইলে শারীরিক পরিশ্রমের পরিমাণ বাড়াতে হবে। হাঁটা, দৌড়ানো, নাচ ইত্যাদি যে কোনোভাবেই তা করা যায়। অলসভাবে শুয়ে বসে দিন কাটানো বর্জন করতে হবে।

ধূমপান: ফুসফুসের পাশাপাশি হাড়েরও ক্ষতি করে ধূমপান, বাড়াতে পারে হাড়-ভাঙা রোগের ঝুঁকি। নতুন হাড় গঠনকারী কোষের নাম হল ‘অস্টিওব্লাস্টস’ আর পুরানো হাড় পুনর্গঠন করে যে কোষ তা হল ‘অস্টিওক্লাস্টস’। দুটার কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত করে ধূমপান। ফলে হাড় দূর্বল হতে থাকে।

অ্যালকোহল ও সোডা: যারা নিয়মিত সোডা ও মদ্য পান করেন তাদের হাড় দূর্বল হতে পারে এদের কারণেই। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ব্যহত হয় হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণ প্রক্রিয়াও। আবার অতিরিক্ত সোডা বা কার্বোনেটেড পানীয় হাড়ের ঘনত্ব কমায়।

ভারসাম্যহীন খাদ্যাভ্যাস: সুস্থ সবল হাড়ের জন্য ক্যালসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত খাবার থেকেই ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়, আর এই খাদ্যাভ্যাস যদি ভারসাম্যহীন হয় তবে দেখা দেবে পুষ্টিহীনতা। তাই হাড়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নিশ্চিত করতে হবে।

ওজন কমানো: শরীরের ওজন একটি স্বাস্থ্যকর মাত্রায় ধরে রাখা জরুরি। তবে ছিমছাম শরীর পেতে গিয়ে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেললে তা হাড়ের জন্য ক্ষতিকর। বডি ম্যাস ইনডেক্স (বিএমআই)’য়ের মাত্রা ১৮.৫ এর কম হলে তা বাতের ঝুঁকি বাড়ায়।

ঘুমের অভ্যাস: ঘুমের সমস্যাকে অবহেলা করার দোষে কমবেশি সবাই দোষী, যার মারাত্বক প্রভাব পড়ে স্বাস্থ্যের উপর। ঘুমের অভাবের সঙ্গে হাড়ের সমস্যার গভীর সম্পর্ক আছে।

ছবি: দীপ্ত।

আরও পড়ুন