গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ সামিট ২০১৯-এ বাংলাদেশ

সম্প্রতি নেপালে অনুষ্ঠিত হল ‘গ্লোবাল ইয়ুথ পার্লামেন্ট'য়ের ‘গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ সামিট-২০১৯’।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2019, 11:41 AM
Updated : 16 May 2019, 11:41 AM

এ আসর একেক বছর একেক দেশ হয়ে থাকে। এ বছর তিনদিনের এই সম্মেলনে নানান দেশের ডেলিগেশন দল, গুরুত্বপূর্ণ অতিথি ও পুরষ্কারপ্রাপ্ত তরুণদের মেলা বসে দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুতে।

তরুণ প্রতিনিধিদের মাঝে এতে অংশ নেন ৪২টি দেশের ৭১ জন।

নেপালের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি হলে বিশ্বের প্রায় এক হাজার তরুণের অংশগ্রহণে, প্রধান অতিথি নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জলানাথ খানাল-সহ দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী রাম শারান মহত, জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীরা ও নানান দেশ ও আন্তর্জাতিক জোটের স্থায়ী প্রতিনিধি, কূটনীতিকবৃন্দ এবং দেশি বিদেশি সমাজকর্মীদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ অবদানের জন্য নির্বাচিত মাত্র ৩৭টি দেশের সর্বমোট ৪৬ জনের নাম ঘোষণা ও সম্মাননা ট্রফি প্রদান এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে সম্মেলনের সূচনা করা হয়।

বাংলাদেশ থেকে এই সম্মাননার জন্য নির্চাচিত সাত তরুণ। তারা হলেন-

লিডারশিপ ক‍্যাটাগরিতে ড. খালেদ মাসুদ মজুমদার এবং এড. ফারুক তপাদার। এন্টারপ্রিনিউরশিপ ক‍্যাটাগোরিতে ড. আমানা আনোয়ার ও বর্ষাদুপুর প্রকাশনীর কর্ণধার মাশফিকুল্লাহ তন্ময়।

পদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশিদের একাংশ

এই প্রকাশনির তিন লেখক- ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে রাকিব আল হাসান, মোটিভেশন ক্যাটাগরিতে লাইফ কোচ রাওমান স্মিতা এবং বাংলাদেশ থেকে রাজনৈতিক ক‍্যাটাগরিতে বিশ্বের মাত্র আট জনের মাঝে ছড়াকার ও সাংবাদিক অনিক খান সম্মাননা গ্রহণ করেন তরুণদের মাঝে গণতন্ত্র চর্চা জনপ্রিয় করতে গণমাধ‍্যমে তার নানান কমর্কাণ্ডের জন‍্য।

সম্মলনের শেষ দিন, 'টেকসই উন্নয়ন লক্ষ‍্যমাত্রা-এসডিজি' বিষয়ে তরুণরা তিনটি বিষয়ভিত্তিক সেশনে তাদের বক্তব‍্য পেশ করেন এবং স্ব স্ব দেশের বাস্তবতা তুলে ধরে মত বিনিময় করেন। তরুণসুলভ প্রণবন্ত প্রশ্নত্তোর পর্বের মাঝেই গুরুত্বপূর্ণ নানান বিষয়ে আলাপ চলে।

সম্মেলনের শেষ দিন গ্লোবাল ইয়ুথ পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক প্রধান দিয়াকর আরিয়াল ও সংগঠনটির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কারী বাংলাদেশের রাওমান স্মিতার একটি এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়– যাতে ঘোষণা আসে বিশ্বের নানান দেশের অতিথিদের উপস্থিতিতে ১৮ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে সার্ক অন্তর্ভূক্ত দেশগুলোর তরুণদের অংশগ্রহণে আরেকটি সম্মেলন।

সার্ককেন্দ্রিক তরুণদের এই আয়োজনটা দ্বিতীয় হলেও বাংলাদেশে প্রথম।

নেপালের সম্মেলন শেষে ঢাকায় দ্বিতীয় সার্ক লিডারশিপ সামিট ২০১৯ হতে চলেছে এই ঘোষণার পর উপস্থিত এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের সভাপতি দিওয়াকর আরিয়াল বলেন- “বাংলাদেশের তারুণ‍্য গত কয়েক দশকে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রই ঈষর্নীয়ভাবে এগিয়েছে। এই অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের সরকারের দারুণ আগ্রহের প্রমাণও আমরা নিয়মিত পাই এমন আয়োজনগুলোতে বিশ্বের নানা প্রান্তের বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো থেকে।”

দিওয়াকর আরিয়াল ও রাওমান স্মিতার এমওইউ স্বাক্ষর

“নেপালে অনুষ্ঠিত এবারের সম্মেলনেও যেমন বাংলাদেশ দূতাবাস, এমন কি রাষ্ট্রদূত হার এক্সেলেন্সি মাশফি বিনতে শামস নিজেও আমাদের শুধু মানসিক বা নৈতিক সমথর্নই নয়, এই সম্মেলন সঠিকভাবে পরিচালনা করতে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ। আর আমি তো বটেই, বিশ্বের প্রায় সবাইই তো বাংলাদেশের মানুষদের দারুণ ভালোবাসে, এই সম্মেলনে বাংলাদেশের তরুণদের নিয়ে সবার উচ্ছাসও সেটা প্রমাণ করে।”

ওদিকে ঢাকার সম্মেলনে বাংলাদেশের তরুণদের ভূমিকা কেমন থাকবে এমন প্রশ্নে এড. রাওমান স্মিতা বলেন- “এমন আয়োজনে আসলে সবার অংশগ্রহণ ও সহযোগীতা প্রয়োজন। ইতিমধ‍্যেই সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে আমি আমার দলসহ যোগাযোগ শুরু করেছি, আমরা যে গতিতে আগাচ্ছি তাতে বিশ্বাস করি ঈদের পর একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ‍্যমে একটা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারবো এবং বাংলাদেশের তরুণদের এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে পরিষ্কার দিকনির্দেশনা দিতে পারবো।