সকালের নাস্তাকে দিনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হিসেবে গন্য করার পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সকালে নাস্তা খেলে শরীর পায় প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান যা যোগায় কর্মশক্তি, পাশাপাশি সহায়তা করে ওজন কমাতেও। কার্যকরভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে সঠিক ধরনের খাবার সকালে সঠিক সময়ে খেতে হবে এবং প্রতিদিন একই খাবার খেলে উপকার পেতে পারেন।
এমনটা করার উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হলো স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অবলম্বনে।
প্রথম কথা হলো, সকালের নাস্তা কখনই বাদ দেওয়া যাবে না। যে খাদ্যাভ্যাসই অনুসরণ করা হোক না কেনো, সবকিছুই নির্ভর করবে সকালের নাস্তা কখন খাচ্ছেন আর কি খাচ্ছেন সেটার উপর।
দিনের শুরুটা যদি হয় স্বাস্থ্যকর খাবার এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মধ্য দিয়ে, তবে ভালো ফলাফল আসতে বাধ্য। আর এজন্যই আদর্শ ফলাফলের জন্য প্রতিদিন সকালের নাস্তায় একই খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যারা সকালের নাস্তায় পেট ভরে খেতে পছন্দ করেন তাদের উচিত হবে খাদ্য তালিকায় স্বাস্থ্যকর উপাদান অন্তর্ভুক্ত করা। এতে পরবর্তী বেলার খাবারের তালিকায় স্বাস্থ্যকর উপকরণ রাখার আগ্রহ বাড়বে।
স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তায় থাকা চাই প্রোটিন ও ভোজ্য আঁশযুক্ত খাবারগুলো, যা অনেকক্ষণ ক্ষুধা দূরে রাখবে এবং প্রয়োজনীয় কর্মশক্তি সরবরাহ করে যাবে যাতে ক্যালরি খরচ হয়।
আর প্রতিদিনের নাস্তায় একই খাবার থাকলে তা সময়ও বাঁচাবে। কারণ, কি করতে হবে তা জানা থাকলে তার জন্য নতুন করে প্রস্তুতি নেওয়ার কিছু নেই।
তবে খেয়াল রাখতে হবে, সহজে সকালের নাস্তা তৈরি করতে গিয়ে ‘সিরিয়াল’ বা দোকান থেকে কিনে আনা প্রক্রিয়াজাত খাবার দিয়ে কাজ সারলে চলবে না। বরং এজাতীয় খাবার খাওয়া দ্রুত বর্জন করতে হবে। প্রোটিনের উৎস হিসেবে থাকতে পারে সবজি, ওটস, ফল, ব্ল্যাক কফি ইত্যাদি। ওজন কমাতে এদের সবগুলোই উপকারী।
তবে প্রতিদিন একই খাবার যাদের ভালো লাগে না তাদের জন্য এই পরিকল্পনা নয়। কারণ, একই খাবারের প্রতি বিরক্ত হয়ে যদি অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া শুরু করেন তবে সব চেষ্টাই বৃথা যাবে, বাড়বে ওজনও।
আরও পড়ুন