গরমে সবার শরীরের পানির চাহিদা বেড়ে যায়। প্রাপ্তবয়স্করা তো নিজের ভালোর কথা চিন্তা করে পানি পান করবেন কিন্তু, শিশুর পানির চাহিদা পূরণ করাটা ঝক্কির বিষয়। তাই বেছে নিতে পারেন ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি মজাদার ও স্বাস্থ্যকর পানীয় যা শিশুর পানি পানের আগ্রহ বাড়াবে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানানো হলো শিশুর উপযোগী পানীয় তৈরির পদ্ধতি।
স্মুদির নানা রকমের হয়। এটা পুষ্টি, প্রোটিন, ভিটামিন এবং ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ সমৃদ্ধ, যা শিশুকে সারাদিন ভরপুর রাখতে সাহায্য করে। সকালের নাস্তায় দুধ খেতে না চাইলে তার বদলে হাতে তুলে দিতে পারেন স্মুদি। বিকেলে শিশুর প্রিয় ফল, টকদই ও ওটামিল মিশিয়ে তৈরি করা স্মুদি। এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি মিলবে, পানি পান করা হবে এবং শিশুও তা পছন্দ করবে।
গরমে তৃষ্ণা মেটাতে সুস্বাদু এবং সহজে প্রস্তুতযোগ্য পানীয় হল লেবুর সরবত। এটি ভিটামিন সি’য়ের আদর্শ উৎস। পাশাপাশি এটি শরীর চাঙ্গা করে এবং তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়।
ডাবের পানি সল্প ক্যালরিযুক্ত পানীয়। এটি প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, খনিজ এবং ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ সমৃদ্ধ, যা শরীর সুস্থ রাখে, যোগায় পুষ্টি ও আর্দ্রতা। শিশুর তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় ডাবের পানি।
সব ঋতুতেই হজমে সহায়ক এই পানীয়, তৈরি করাও সহজ। ঘরোয়া উপাদান যেমন- দই, পানি, লবণ, মরিচ এবং পুদিনা পাতা দিয়ে এই পানীয় তৈরি করা যায়।
আমের সরবত: কাঁচা হোক কিংবা পাকা, গ্রীষ্মের অন্যমত প্রিয় ফল আম। শিশুর শরীর-মন সতেজ করতে কাঁচা আমের সরবত হতে পারে দারুণ উপায়। মিষ্টি করতে তাতে গুড় কিংবা আখের রস মিশাতে পারেন। সহজে হজম হয় আমের সরবত। পাশাপাশি এটি ভিটামিন সি এবং লৌহের ভালো উৎস।
পানিশূন্যতা দূর করতে শশা ও লেবুর সরবত বেশ উপকারী। কয়েকটি শশা ও লেবু ফালি করে কেটে পানি ভর্তি জগে ফেলে দিতে হবে, তাতে যোগ করতে হবে কয়েকটি পুদিনা পাতা, ব্যস তৈরি হয়ে গেলো শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান অপসারক পানীয়। সবগুলো উপাদান একসঙ্গে শিশুর শরীর ও মন ঠান্ডা রাখতে এবং সতেজ অনুভব করতে সাহায্য করবে।