সাত পদের ভর্তা

রন্ধনশিল্পী ডা. ফারহানা ইফতেখারের রেসিপিতে নানান ভর্তায় সাজিতে তুলুন এই বৈশাখের খাবার টেবিল।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 April 2019, 06:28 AM
Updated : 14 April 2019, 06:28 AM

নারিকেল ভর্তা

উপকরণ: নারিকেল কোড়ানো দেড় কাপ। পেঁয়াজ-কুচি ১টি। রসুন কুচি ১টি। শুকনা-মরিচ ৭-,৮টি বা যেমন ঝাল খেতে চান। সরিষার তেল পরিমাণ মতো। লবণ স্বাদ মতো।

পদ্ধতি: প্যানে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে পেঁয়াজ-রসুন কুচি ও নারিকেল হালকা বাদামি করে ভেজে নিন। এবার শুকনা মরিচ দিয়ে ভেজে নিন লাল করে। তারপর পেঁয়াজ ও রসুন কুচি, নারিকেল ও মরিচ ব্লেন্ড করে নিন।

এখন সরিষা তেল আর লবণ দিয়ে মেখে নিলেই তৈরি মজাদার নারিকেল ভর্তা।

কচুমুখী ভর্তা

উপকরণ: কচুমুখী আধা কেজি। শুকনা-মরিচ ৮-১০টি। রসুনের কোঁয়া ১০-১২টি। পেঁয়াজ-কুচি আধা কাপ। লবণ পরিমাণ মতো। ধনেপাতা কুচি পরিমাণ মতো। সরিষার তেল পরিমাণ মতো।

পদ্ধতি: কচুমুখী-গুলো ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে।

সিদ্ধ কচুমুখী, রসুন ও শুকনো মরিচগুলো তেল ছাড়া টেলে নিন। এরপর এগুলো ভর্তা করে নিন।

এখন পেঁয়াজ-কুচি, ধনেপাতা, লবণ ও সরিষার তেল দিয়ে কচুমুখীর ভর্তার সঙ্গে মিশিয়ে ভাতের সঙ্গে লেবু দিয়ে পরিবেশন করুন।

মুলার ভর্তা

একটা মুলা গ্রেটারের সবচেয়ে ছোট দিক দিয়ে গ্রেট করে লবণ মাখিয়ে রেখে দিতে হবে ১০-১৫ মিনিট।

এক টুকরা যে কোনো বড় মাছ ভেজে কাটা ছাড়িয়ে রাখতে হবে। এরপর মুলাটা ভালো করে চিপে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।

স্বাদ মতো শুকনা মরিচ ভেজে সঙ্গে পরিমাণ মতো পেঁয়াজ, লবণ, সরিষার তেল, ধনেপাতা-কুচি, সঙ্গে চিপে রাখা মুলা ও মাছ একসঙ্গে হাতে মেখে নিলেই হয়ে যাবে মজার মুলা ভর্তা।

বুটের ডালের ভর্তা

উপকরণ: বুটের ডাল ১ কাপ। হলুদ অল্প। রসুনের কোঁয়া ১টি। শুকনা মরিচ ২-৩টি। পেঁয়াজ-কুচি ১ টেবিল-চামচ। সরিষার তেল ১ চা-চামচ। লবণ ও ধনেপাতা স্বাদ মতো।

পদ্ধতি: প্রথমে ডাল ভালো করে ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন কয়েক ঘন্টা। তারপর এক কাপ পানি ও অল্প হলুদ দিয়ে চুলায় দিন। তাতে রসুন-কুচি দিয়ে ডাল সিদ্ধ হতে দিন।

ডালের পানি শুকিয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। একটি প্যানে শুকনা-মরিচ টেলে নিন।

একটি বাটিতে পেঁয়াজ, লবণ, ধনেপাতা, টেলে নেওয়া মরিচ ও তেল দিয়ে মেখে ডালের সঙ্গে মিশিয়ে ভর্তা তৈরি করে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

ঢেঁড়স ভর্তা

উপকরণ: ঢেঁড়স ২ কাপ। পেঁয়াজ ২টি। শুকনা-মরিচ ৬টি। লবণ পরিমাণ মতো। সরিষার-তেল ১ টেবিল-চামচ। ধনেপাতা ৩ টেবিল-চামচ।

পদ্ধতি: প্রথমে ঢেঁড়স ধুয়ে দুতিন টুকরা করে প্যানে তেল দিয়ে বাদামি করে টেলে নিন। তারপর  হ্যান্ড-ব্লেন্ডার দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।

তারপর ঢেঁড়স, পেঁয়াজ, মরিচ, ধনেপাতা দিয়ে ভালো করে মেখে নিলেই তৈরি হয়ে গেল মজাদার ঢেঁড়স ভর্তা।

কাঁঠালের দানা দিয়ে চিংড়ি শুঁটকি ভর্তা

উপকরণ: কাঁঠালের দানা ১ কাপ। চিংড়ি শুঁটকি আধা কাপ। পেঁয়াজ-কুচি ১ টেবিল-চামচ। ভাজা শুকনা মরিচ ৫/৬টি। সরিষার তেল পরিমাণ মতো (ভর্তা করার জন্য)। ধনেপাতা-কুচি ও লবণ স্বাদ মতো।

পদ্ধতি: কাঁঠাল দানার সবচেয়ে বাইরের সাদা খোসা ফেলে দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। এবার সিদ্ধ দানার ওপর থেকে লাল আবরণ তুলে একটি পাত্রে রাখুন।

একটি প্যানে চিংড়ি শুঁটকি বাদামি করে টেলে গুঁড়া করে নিন। সিদ্ধ কাঁঠালের দানা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন বা পাটায় বেটে নিন৷

একটি পাত্রে সরিষার তেল, পেঁয়াজ-কুচি, ভাজা শুকনা মরিচ, লবণ, কাঁঠালের দানা বাটা ও চিংড়ি শুঁটকি একত্রে মাখিয়ে ভর্তা করে নিন।

বেগুন ভর্তা

পরিমাণ মতো বেগুন ভালো ভাবে ধুয়ে গোল গোল করে কেটে নিতে হবে। তারপর বেগুনগুলোকে হালকা লবণ ও হলুদ মিশিয়ে সরিষার তেলে ভেজে নিন।

ভাজা বেগুন চামড়াটা ছাড়িয়ে ভালো ভাবে মেখে নিন। সঙ্গে পেঁয়াজ কুচি, লবণ, টালা শুকনা মরিচ, ধনেপাতা কুচি দিয়ে একসঙ্গে মেখে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার ভর্তা।