শীতলপাটির গল্প

শীতলপাটি ঝালকাঠির ঐতিহ্য। সেখানকার মানুষগুলোও পাটির মতোই শান্ত।

ফারুখ আহমেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 April 2019, 01:26 PM
Updated : 6 April 2019, 07:52 AM

“আপনাদের তো ভাত খাওয়ানুর কাম। কিন্তু বিকাল হয়া যাইতো গা। স্টিমার ফেল করবেন তাইলে। আপনেগো না খাওয়াইতে পাইরা খুব খারাপ লাগতাছে।”- কথাগুলো হাইলাকাঠির শীতলপাটির গ্রামের নরোত্তম পাটিকরের।

গরুর দুধ আর চা বিস্কুট খেলাম তার ঘরে। তারপরও দুপুরের খাবার ভাত-মাছ খাওয়ানোর আক্ষেপ ছিল তার। সে আক্ষেপ কি এক আহাজারি হয়ে কানে বাজছিল।
আমাদের মুখ থেকে কোনা শব্দ বের হয়নি। চেয়ে থেকে বিদায় বেলায় শুধু উচ্চারণ করতে পেরেছিলাম আবার আসবো দাদা।

নরত্তোম দার উত্তর, “ঘরে মাছ ছিল, এ আমাদের বিষখালীর মাছ গো দাদা!”

বাঙালি ঐতিহ্যের এক গুরুত্বর্পূণ অংশ শীতলপাটি। গরমে ঠাণ্ডা অনুভব পাওয়ার জন্য এক সময় ঘরে ঘরে একপাশে লাল কাপড় লাগানো শীতলপাটির ব্যবহার ছিল চোখে পড়ার মতো।

আগের মতো না হলেও শীতলপাটির ব্যবহার এখনও আছে। আমাদের ঐতিহ্যের অন্যতম শীতলপাটির শিল্প, শীতলপাটির গ্রাম ও পাটি-শিল্পী- যাদের বলা হয় পাটিকর, তাদের দেখার জন্য ঝালকাঠি যাত্রা করেছিলাম।

শীত শেষ হয়ে বসন্ত শুরু হয়েছে। তারপরও গত তিনদিন ছিল বরষা-দিনের বৃষ্টি। মেঘ বৃষ্টি আর কুয়াশা ঢাকা এক বসন্ত সকালে আমরা ঝালকাঠির স্টিমার ঘাটে নামলাম।

দেখেই বোঝা যায় সুগন্ধা পারের এই ঘাট অনেক পুরাতন। বের হতে হতে দেখতে পেলাম টিকিট কাউন্টার খোলা। টিকিট মাস্টারের নাম প্রশ্ন করে জেনেনিলাম; রিয়াজুল ইসলাম।

রিটার্ণ টিকিট চাইলে রিয়াজুল গড়িমসি শুরু করল। তাকে আজাদ ভাইর নাম বলতে নরম হয়ে আমাকে বিকেল সাড়ে তিনটায় আসতে বললেন। তিনটার কারণ এখনও তিনি সিট প্ল্যান পান নাই।

কি আর করা, রিয়াজুলের মোবাইল নাম্বার নিজের মোবাইলে সেভ করে পথে নামলাম।

ছোট্ট শহর ঝালকাঠি। এখানে যতবার আসবো ততবারই ভালো লাগবে।

আমরা স্টিমার ঘাট থেকে বের হওয়ার সময় দুপাশের ঘরবাড়ি দেখি। কাঠের দোচালাবাড়ি অনেক পুরাতন। সেসব ঘরবাড়ি পেছনে ফেলে একটু এগিয়ে প্রধান সড়কে পা পড়তে অস্থায়ী বাজার চোখে পরে।

হরেক রকম শাকসবজি নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। কুমরার ফুল দেখে লোভ লাগল। অনেকদিন পর আগড়া শাকের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। বিক্রেতার কাছে দাম জানতে চাইলে শুরু করে দিল এর নানান গুণগান।

পাশেই এক মাছ বিক্রেতা সার্ডিন নিয়ে বসেছেন, কেজি ৯০ টাকা। সার্ডিন মাছ পেটে পড়েনি কখনও। কিছুটা ইলিশ সদৃশ্য সার্ডিন কিনতে ইচ্ছে করে। সে ইচ্ছেতে সাহস জোগায় পাশের রেস্তোরাঁ। তবে রেস্তোরাঁর মালিক রসিক নন। আমি মাছ কিনলে ভেজে দিতে রাজি না হলে হতাশ হই।
সে অল্প হতাশা টুকু সঙ্গে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাই। শুক্রবার ছুটির দিন হলেও চারিপাশে দোকানপাটের ব্যস্ততা। এর মাঝেই ঝালাকাঠির প্রছন্ন শান্তশ্রী মন ছুঁয়ে যায়।

ভালো লাগার মুগ্ধতা নিয়ে পাশেই এক ফার্মেসিতে কথা বলি। দোকানি প্রশান্ত হাওলাদারের কথা মতই ইজি বাইকে চেপে কলেজ রোড চলে আসি। তার আগে প্রাতরাশ সেরে নেই ডাল ভাজি ডিম আর নানরুটিতে!

আমরা শীতলপাটির গ্রামে যাচ্ছি সে আগেই বলেছি। এখানে আরও দেখবো জীবনানন্দ দাশের সেই ধানসিঁড়ির বর্তমান রূপ সঙ্গে এখানকার নিখাদ গ্রাম উপভোগ করব।

মজার হল ঝালকাঠি শহরের লোকজন শীতলপাটি ঐতিহ্য বিষয়ে বিস্তারিত জানেন না। রাগ হল। সে রাগ উপশম করতে এগিয়ে এলেন স্থানীয় বাউল সোহরাব মিয়া।

কোথায় যাব কি করব জেনে, কিছু না বলে তিনি তার নিজের রচিত গান শুরু করে দেন। গান শুনতে শুনতে শীতলপাটির গ্রামে হারিয়ে গেলাম, তারপর আবার ফিরে এলাম।

এবার সোহরাব বাউলের কথা মতো বাস কাউন্টার থেকে মাথাপিছু ২৫ টাকার টিকিট কাটলাম রাজাপুরের। তিনি বলে দিলেন আমরা নামবো বাঘরি। ঝালকাঠি কলেজ গেট থেকে রাজাপুর বা বাঘরি এলাকায় রাস্তার কাজ চলছে। রাস্তা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত সে পথটুকু মনে না রাখাই ভালো।

একটু বলি, পৌঁছতে সময় লেগেছিল ৪৫ মিনিট। বাঘরি নেমে আমরা ইজি বাইকে হাইলাকাঠির যাত্রি হই। চলতি পথে সোহরাব বাউলের গান গুনগুন করি!

গান গাইতে গাইতেই খানিকটা দিবানিদ্রার পর জেগে উঠে চোখে পড়ে চারিদিকে চমৎকার গাছপালা। খুব সুন্দর সাজানো গোছানো, যার প্রশংসা একবার করেছি। পুরো জনপদটাই মনোরম। তবে এখানে কোথাও শিমুল-পলাশের দেখা পেলাম না। খড়ের গাদার সারি পুরো রাস্তা জুড়ে। দেখা হল একঝাঁক রাজহাসের সঙ্গে। প্রায় ত্রিশটার কম হবে না, বাচ্চাকাচ্চাসহ যেন বেড়াতে বের হয়েছে। আমাদের দেখে তাদের কাছে অবাঞ্ছিত মনে হল না। অনেক্ষণ তাকিয়ে দেখে পাশের খালে নেমে গেল।

চলতি পথে একটু পরপরই দেখা পেলাম অভিনব কায়দায় বানানো একেবারে মাটি ছোঁয়া কাঠ-মাটির ঘর। এখানে চলার পথ ইটসুরকির বা মেঠোপথ না। দুপাশের অদ্ভূত সুন্দরের মধ্যিখানে অতি-অসাধারণ পিচপথ। অতি মসৃণ বেশ প্রশস্ত সে পিচ পথেই দেখা পাই চমৎকার তালগাছ বিথীর।

সে শ্বাসরম্নদ্ধকর শোভায় ছানাবড়া চোখ আর সরে না। দশ মিনিট খালি চোখে তাকিয়ে ছিলাম। কি করবো; এখানে তালগাছের শোভা যে অন্য রকম তা মানতেই হবে। ছবি দেখে তো বুঝবেনই আর কাছে গিয়ে পাগল হবেন। সে পাগল হওয়া শোভা খালি চোখে দেখার পর চলে ক্যামেরায় ক্লিকের  পর ক্লিক।

পুরো গ্রামটাই একেবারে দেশি লেবাসে আকর্ষণীয়। মানুষের সঙ্গে দেখা হলে তারা যেমন অদ্ভূত দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখছিলেন, তেমনি কাছে এসে কথা বলছিলেন। এভাবেই এক সময় দেখা পেলাম নদীর।

দুঃখের বিষয় এবং মানতেই হবে সে দৃশ্য মনোরম ছিল না। আমরা ইন্দ্রপাশা গ্রামে এসে যে নদীর দেখা পাই তার নামই দেশ সেরা ধানসিঁড়ি। সব কিছু এত সুন্দর কিন্তু নদীর হতশ্রী বেদনাদায়ক।

রাস্তার ফাঁকে ফাঁকে দেখা ধানসিঁড়িকে নদী বা খালও বলা যায় না। জলাধার বলা চলে কিনা তাও ভাবতে হবে। অথচ এক সময় ধানসিঁড়ির এই অংশ দিয়ে বড় গয়নার নৌকা ও লঞ্চ চলত। জানালেন স্থানীয় চাষি ইদ্রিশ আলী।

ইদ্রিশ ভাই আরও জানান, এখানে নদী মরে যাওয়ার কারণ দখল নয়। নদীর দুপাশ থেকে জোয়ার আসায় এবং যথা সময় ড্রেজিং না করায় নদীর এই অবস্থা হয়েছে।

মন ভালো করা ব্যাপার না তবে প্রতিজ্ঞা করি যে করেই হোক নদী উদ্ধারে সবাইকে সচেতন করতেই হবে।

প্রায় আধা ঘণ্টার বিরতীতে ধানসিঁড়ির দুরাবস্থা দেখতে দেখতে আবার ইজিবাইকে চড়ে বসি।

এখানে টানা রাস্তার কোথাও একটুও এবড়ো থেবড়ো ভাব নেই। সে পথ ধরে এর পরের দশ মিনিট পর চলে আসি হাইলাকাঠি। এই হাইলাকাঠিই হল শীতলপাটির গ্রাম।

রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের ছোট্ট গ্রাম হাইলাকাঠির বিরাট কারবার। সব কিছু মিলে হাইলাকাঠি অসম্ভব সুন্দর একটি গ্রাম।  এখানে পা রাখতেই নদীর কষ্ট ভুলে মন ভালো হয়ে যায়। শীতলপাটির জন্যই কিনা পুরো গ্রাম সুশীতল ছায়ায় আবিষ্ট। রাস্তার দুপাশে পাইত্রার ক্ষেত। অবশ্য আমরা ইন্দ্রপাশা গ্রাম পেরিয়ে আসার পরই রাস্তার দুপাশে পাইত্রার বন দেখেছি।

ইজিবাইক চালক একটু বেশি ভালো। সব কিছু খুঁটিয়ে দেখিয়ে আমাদের নিয়ে এসেছেন হাইলাকাঠির এই শীতলপাটির গ্রামে।

গ্রামের এই পথ টুকু আবার মেঠো পথ। একপাশে অনেক পুরাতন ঘাটের পুকুর। তারপাশে আধঝাঁপ নামানো টং ঘরের মতো দুইটা মনোহরি দোকান। কয়েকজন কে দেখা গেলো পাশেই বসে অলস আড্ডা দিচ্ছেন।

ইতিমধ্যে আমাদের দেখে তাদেরও কৌতুহলী চোখ ঘুরছে সঙ্গে প্রশ্ন বোঝাই যাচ্ছে।

আমাদের ক্ষিধা না পেলেও পানি ও চা পিপাসা পেয়েছিল। পাশের দোকানির কাছে চায়ের কথা বলতেই ঝাঁপ তুলে ফেললেন। তারপর বেঞ্চ এগিয়ে দিয়ে চা তৈরিতে ব্যস্ত হলেন।

সে সময় আমাদের দেখে এগিয়ে আসেন প্রশান্ত পাটিকর। কথায় কথায় পরিচয় পর্বটা শেষ হয়। তারপর যতক্ষণ আমরা মঠবাড়ির হাইলাকাঠি শীতলপাটির গ্রামে ছিলাম, পুরো সময় প্রশান্ত বাবুর সহযোগিতা ছিল আমাদের জন্য।

আমরা প্রশান্ত দাস পাটিকরের সঙ্গে ঘুরে দেখি ঘরের পর ঘর পাটিশিল্প। বুকা ও বেতি কাকে বলে এবং তাদের পার্থক্য জানতে পারি।

পাইত্রা কাটার পর বেতি আলাদা করার পর থাকে বুকা। বেতি দিয়ে শীতলপাটি হয়, আর বুকা দিয়ে মূলত পান বাঁধার কাজ-সহ অন্যান্য কাজ হয়ে থাকে।

বন থেকে কেটে আনা পাইত্রা কেটে বেতি করতে দেখি। শুকানো বুকা ওজন করে আলাদা করতে দেখি। সীমা রানী আমাদের দেখান কীভাবে শীতল পাটি বুনতে হয়।

পরিচয় হয় জুরেন চন্দ্র পাটিকর, কার্তিক চন্দ্র পাটিকর, ভবতোষ পাটিকর, ভবতোষের ছোট ভাই নরোত্তম চন্দ্র পাটিকর। যার কথা লেখার শুরুতেই বলেছি।

তুলসি রানী ও ভবতোষের দুই ছেলে রাজু ও উৎসর সঙ্গে। আমাদের শীতলপাটি ও সাধারণ পাটির পার্থক্য বুঝিয়ে দেন বা চিনিয়ে দেন সীমা রানী, নরত্তোম ও সুশান্ত পাটিকর।

শীতল পাটি দুই রকম ফল্লা ও জোড়া পাটি। ফল্লা হল জোড়া ছাড়া শীতল পাটি। পাটির মধ্যখানে সমান জোড়া থাকলে থাকে জোড়া বা সপ-পাটি বলে।

হাইলাকাঠি গ্রামে মোট দেড়শ জনের মতো পাটিকর রয়েছেন যারা সবাই পাটি শিল্পে সঙ্গে জড়িত। পাইত্রা চাষের আনুমানিক জমি একশ বিঘার মতো। 

প্রশান্ত দাস পাটিকরের কাছ থেকে জানা গেল, ১৫০ জন বা কম বেশি পাইত্রা পরিবার এই গ্রামে শীতলপাটি শিল্পের সঙ্গে জড়িত হলেও সবার পাইত্রা বন নেই। অনেক পাইত্রা বনের মালিক পাটি বোনেন না। পাইত্রা বিক্রি করাই তাদের পেশা। যাদের পাইত্রা বন নেই তারা পাইত্রা বনের মালিকদের কাছ থেকে কিনে পাটি তৈরি করেন।

কলার মতো এক পোন হিসেবে পাইত্রা বিক্রয় হয়। ৮০ পিসে এক পোন। এক পোন পাইত্রা ৫০ থেকে ৩শ’ টাকায় মান অনুযায়ী বিক্রয় হয়।

পাটি তৈরি হয় তিন রকম। শীতলপাটি, নামাজের পাটি ও আসনপাটি।

হাইলাকাঠির পাটি শিল্প দেখা শেষ করে প্রশান্ত দাস পাটিকরের সঙ্গে এবার পায়ে হেঁটে চলে যাই কাছেই ডহরশংকর গ্রাম।

এখানেও প্রায় একশর মতো পরিবার শীতলপাটির কাজ করে থাকে।

আমরা এখানে পাটিকরদের ঘরে না গিয়ে শীতলপাটি উন্নয়ন সমবায় সমিতিতে যাই। বিশাল মাঠ জুঁড়ে এখানে বেতি শুকানো হচ্ছে, সমিতির ঘরের ভেতর পাইত্রা কেটে বেতি বানানোর কাজ চলছে, সে এক মহাযজ্ঞ যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না।

শীতলপাটি উন্নয়ন সমবায় সমিতির নাম আশার আলো। নির্মাণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তা একশত ভাগ। খুব বেশি দিন হয়নি।

২০১৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগ পাটিকরদের একত্রিত করেছে। সমিতি চাঁদা ধার্য করে দিয়েছে। প্রতি সপ্তাহে চাঁদা দেওয়ার নিয়ম প্রতিটি সদস্যের। সমিতি থেকে লোন নেওয়ার ব্যাবস্থাও রয়েছে। তবে ৫ হাজার টাকার বেশি নয়। সে জন্য পাটিকররা সরকারী সহযোগিতা চায়।

প্রশান্ত দাস পাটিকর বলেন, “ছয় মাস পাটি বুনন কাজ চলে বাকি ছয় মাস বসে থাকতে হয়। সরকার জেলেদের যেভাবে ডাল-চাল দিয়ে সহযোগিতা করেন আমাদেরও সে সাহায্য দরকার। মৌসুম চলে গেলে যেন আমরা অন্ত; খেয়ে বাঁচতে পারি।”

সরকার সে ব্যবস্থাটুকু করুক এই শিল্পের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন তাদের জন্য। সরকারী সাহায্য সহযোহিতা খুব দরকার। পাটিকররা পেশা ছেড়ে দিলে আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাওয়া এই শিল্প রক্ষা করা কঠিন হবে বলে তিনি মনে করেন!

প্রয়োজনীয় তথ্য

বিষখালি নদী তীরের হাইলাকাঠি ও ডহরশংকর দুটোই শীতলপাটির গ্রাম। গ্রাম দুটির ৩শ’ পরিবারের ৩ হাজারের মতো মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত।

ঢাকার সদরঘাট থেকে ঝালকাঠি লঞ্চ ও স্টিমার চলাচল নিয়মিত। যে কোনো ছুটিছাটায় সময় পেলে চড়ে বসলেই হবে। ডেকে বা কেবিন যার যা পছন্দ মতো একটা বেছে নিয়ে যাত্রা শুরু করুন। লঞ্চ বা স্টিমার সকাল সকাল ঝালকাঠি নামিয়ে দেবে।

ঝালকাঠি থেকে বাসে চেপে রাজাপুরের বাঘরি চলে যান। এখান থেকে ইজিবাইকে চেপে হাইলাকাঠি ও ডহরশংকর গ্রাম পৌঁছানো সহজ।

ইজিবাইক ভাড়া নেবে রিজার্ভ ১শ’ টাকা। লাইনের ইজিবাইকেও যাওয়া যায়। ভাড়া মাথা পিছু ১৫ টাকা। সময় লাগবে সাকুল্যে এক ঘন্টা ঝালকাঠি থেকে।

চাইলে ট্রলারেও যাওয়া যায় শীতলপাটির গ্রামে। সে জন্য ঝালাকাঠির কাঠপট্টি ট্রলার ঘাট থেকে ট্রলারে উঠতে হবে। সময় এক ঘণ্টার বেশি লাগবে।

ট্রলার থেকে নামতে হবে নাপিতের হাট। তারপর রিকশায় মঠবাড়ির হাইলাকাঠি ও ডহরশংকর গ্রাম!