প্রতিষ্ঠান কর্মীর কাজের মূল্যায়ন করে তার সারা বছরের কর্মযজ্ঞের ওপর। আর সেই হিসেবে প্রতি বছর একজন কর্মীর বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়।
তবে যা আশা করেছিলেন সেই রকম বেতন বৃদ্ধি না হলে মনে জাগতে পারে হতাশা। চাকরি বদলানোর চিন্তাও মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে।
তবে এক্ষেত্রে মেজাজ গরম না করে বরং লম্বা দম নিন। তারপর শান্ত হয়ে পরবর্তী করণীয় বিষয় চিন্তা করুন।
আর কী কী বিষয়ে ওপর খেয়াল রেখে চিন্তা-ভাবনা চালানো ভালো সে বিষয়গুলো এখানে দেওয়া হল মানসিক-স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।
সিদ্ধান্ত থেকে শিক্ষা নেওয়া: প্রতিষ্ঠান কিংবা যোগ্যতার তুলনায় আপনার প্রত্যাশা কি অবাস্তব ছিল? প্রতিষ্ঠানের সাধারণ বেতন বৃদ্ধির তুলনায় আপনার বেতন বৃদ্ধি কি বেশি? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানার চেষ্টা করতে হবে। সম্ভব হলে প্রাথমিক ঊর্ধতন কর্মকর্তার সঙ্গে নিজের যোগ্যতা ও তার মূল্যায়ন সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করা যেতে পারে। আর তার কথা বিশ্বাস করার চেষ্টা করতে হবে।
কর্মকর্তাকে দোষারোপ না করা: বসের উপরেও বস আছে। তাই মনে রাখতে হবে নিজের ঊর্ধতন কর্মকর্তারও সীমাবদ্ধতা আছে। সেই সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেই তাকে তার পুরো দলের চাহিদা মেটাতে হয়। তাই বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ আশানুরূপ না হলে ঊর্ধতন কর্মকর্তাকে দোষারোপ করা সবসময় বাস্তবসম্মত নাও হতে পারে। কিছু বিষয় তারও নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকতে পারে।
মেজাজ সামলানো: এই ধরনের বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় ঊর্ধতন কর্মকর্তার সঙ্গে আচরণ হতে হবে বিনয়ী। মেজাজ খারাপ করা বা ঝগড়ার কণ্ঠে কথা বললে বিষয়টা আরও জটিল আকার ধারণ করার সম্ভাবনা থাকে। ফলে পরেরবার মূল্যায়নের সময়ে এই ধরনের ঘটনা প্রভাব ফেলবে বাজে ভাবে। তাই ব্যবহার হতে হবে শালীন।
তাড়াহুড়া করে নতুন চাকরি নয়: সিংহভাগ মানুষ বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে চাকরি বদলানোর চিন্তা করেন। তবে চরম এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজের উপর এর প্রভাবটাও ভাবতে হবে।
অনেকদিন ধরে কাজ করলে ধরে নিতে হবে এই প্রতিষ্ঠানে নিশ্চয়ই কোনো ভালো দিক আছে যা দীর্ঘদিন কাজ করার আগ্রহ ধরে রেখেছে। চাকরি ছাড়লে সেটাও চলে যাবে। আবার নতুন কর্মী হলে দ্রুত চাকরি পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে বাজে প্রভাব ফেলতে পারে কর্মজীবনে। তাই সিদ্ধান্ত নিতে হবে ধীরে।
নিজেকে পরীক্ষা করা: ঊর্ধতন কর্মকর্তার সিদ্ধান্তকে সবসময়ই মনে হয় ভুল ও অন্যায্য। তবে মনে রাখতে হবে তাদের নীতি-নির্ধারক হওয়ার পেছনে কারণ আছে। গুণ বিবেচনায় তারা ভালো এবং এই বিষয়ে তাদের উপর আস্থা থাকা প্রয়োজন। তাদের মন্তব্য থেকে শিক্ষা নিতে হবে যাতে আগামী বছর নিজের দক্ষতা আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যায়।
সুযোগ ফুরিয়ে যায়নি: একবার যোগ্যতার মূল্য পাননি বলেই কর্মজীবন অন্ধকার হয়ে যাবে, এমন কোনো কথা নেই। যদি দক্ষতা থাকে তবে আগামী বছর আবার তা প্রমাণ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। আর নতুন প্রতিষ্ঠানে গেলে নিজের পারদর্শীতা নতুন করে তুলে ধরার সুযোগ আসবে।
তাই হতাশ না হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন