‘তৈল মর্দন’ নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার হলেও চুলে তেল মালিশ মোটেই খারাপ বিষয় নয়।
Published : 20 Mar 2019, 04:24 PM
বরং চুলে তেল দেওয়ার রয়েছে নানান সুফল। ওষুধের দোকানে বিক্রি হওয়ার তেলগু্লো যে কোনো কাজে আসে না এমনটা নয়, তবে প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি তেলের কার্যকারিতার সঙ্গে এদের তুলনা চলে না।
প্রক্রিয়াজাত কম তো পুষ্টিগুণ বেশি, তেলের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
সৌন্দর্যচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে চুলে তেল দেওয়ার উপকারী দিকগুলো এখানে দেওয়া হল।
কন্ডিশনিং: আপনার ব্যবহার করা শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, সেরাম ইত্যাদি চুলের প্রসাধনী যত দামি, উন্নতমানের আর ভেষজগুণাবলী সমৃদ্ধ হোক না, তেলের কাছে ‘বধ’ হবে সবকিছুই। মাথার ত্বকের কোষগুলো পুনরুজ্জীবিত করতে তেলের সঙ্গে তুলনা চলে না কোনো কিছুরই। রাসায়নিক উপাদানযুক্ত চুলের প্রসাধনীর তুলনায় তেল ত্বকের আরও গভীরে গিয়ে চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায়।
রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়: নিয়মিত চুলে তেল মালিশ করার অন্যতম উপকারী দিক হল মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি। তেল যেহেতু মাথার ত্বকের প্রতিটি অংশে ছড়িয়ে যায় প্রায় সমানভাবে, তাই সকল চুলের গোড়ায়ও পুষ্টি উপাদান পৌঁছায় সমানভাবে।
চুল পড়া: চুলে তেল মালিশ করার আরেকটি অনন্য গুণ হল তা চুলের বেড়ে ওঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে এবং পড়ে যাওয়া রোধ করে। জলপাইয়ের তেল, নারিকেল তেল কিংবা বিভিন্ন ভেষজ উপাদান সমৃদ্ধ তেল ব্যবহার করে যাচাই করতে হবে কোন তেল নিজের জন্য আদর্শ। আর সেই তেল নিয়মিত মালিশ করতে হবে।
উশকোখুশকো চুল: এলোমেলো চুল সামলাতেও তেলের জুড়ি মেলা ভার। বিশেষ করে আবহাওয়া যখন উষ্ণ ও আর্দ্র হয়ে যায় তখন চুল সামলানো আরও কঠিন হয়ে ওঠে।
বিরক্তিকর এই পরিস্থিতিতে তেল হতে পারে চুলের পরম বন্ধু।
রাতে ঘুমানোর আগে কিংবা গোসলের এক ঘণ্টা আগে মাথায় তেল মালিশ করতে হবে।
চুলের সিঁথি ঠিক না থাকলে সামান্য কয়েক ফোঁটা তেল হাতের তালুতে নিয়ে পুরো চুলে হাত বুলিয়ে নিতে হবে। এতে চুল নিয়ন্ত্রণে থাকবে আবার চুলে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাবও থাকবে না।
ছবির মডেল: আশা। আলোকচিত্র: রাইনা মাহমুদ। বিন্যাস ও পরিকল্পনা: আলি আফজাল নিকোলাস। সৌজন্যে: ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও।
আরও পড়ুন