প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে চুলের যত্ন নেওয়ার কয়েকটি পন্থা এখানে দেওয়া হল রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।
হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার
চুল ভালো রাখার গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল তা পরিষ্কার রাখা এবং যে প্রসাধনী ব্যবহার করছেন তা চুলের জন্য মানানসই কিনা সেটা আগে বিবেচনা করা।
শুষ্ক চুলের জন্য- এমন প্রসাধনী ব্যবহার করা দরকার যা চুলের প্রাকৃতিক তেল শুষে না নেয়।
তৈলাক্ত চুলের জন্য- তৈলাক্ত মাথার ত্বকে কার্যকর এমন প্রসাধনী বাছাই করতে হবে।
চুলের জন্য ডিম
ডিম চুলে চমৎকার কাজ করে। ডিমের কুসুম, চর্বি ও প্রোটিন সমৃদ্ধ। যা চুল আর্দ্র রাখতে এবং অতিরিক্ত তেল দূর করতে সাহায্য করে। সাধারণ চুল কন্ডিশন করতে ডিম ব্যবহার করুন।
ডিমের কুসুম শুষ্ক চুলের জন্য ভালো এবং সাদা অংশ তৈলাক্ত চুলের জন্য ভালো। তবে ধোয়ার সময় ব্যবহার করতে হবে কুসুম গরম পানি।
লেবু ও জলপাই তেল
মাথার ত্বকের শুষ্কতার অন্যতম কারণ হল অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, মানসিক চাপ ও আবহাওয়া। দুই টেবিল-চামচ তাজা লেবুর রস, জলপাইয়ের তেল ও পানির মিশ্রণ এক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করে।
এই মিশ্রণ লাগিয়ে মাথার ত্বক ২০ মিনিট মালিশ করে সাধারণভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
লেবুর রস মাথার ত্বকের শুষ্ক চামড়া দূর করবে এবং জলপাইয়ের তেল মাথার ত্বক আর্দ্র রাখবে।
ক্ষয় দূর করতে মধু ও জলপাইয়ের তেল
সূর্যের রশ্মি চুলের অনেক ক্ষতি করে। এর থেকে বাঁচতে ব্যবহার করা যায় মধু ও জলপাই তেলের মাস্ক।
আধা কাপ মধু ও দুই টেবিল-চামচ জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে তা চুলে মালিশ করুন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
জলপাইয়ের তেল চুল কন্ডিশনিং করে এবং মধু কন্ডিশনিং করার পাশাপাশি ব্যাক্টেরিয়া-রোধী উপাদান হিসেবে কাজ করে।
চুল পড়া কমাতে অ্যালো ভেরা
অ্যালো ভেরা মাথার ত্বকে আরাম দেয় এবং পিএইচ অর্থাৎ ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখে। এতে আছে লোমকূপ পরিষ্কার রাখার ক্ষমতা।
অ্যালো ভেরার সঙ্গে আধা চা-চামচ লেবুর ও দুই টেবিল-চামচ নারিকেল তেল ভালোভাবে মিশিয়ে মাথার ত্বক ও চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে সাধারণভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
ছবির প্রতীকী মডেল: বন্যা। আলোকচিত্র: রাইনা মাহমুদ। বিন্যাস ও পরিকল্পনা: আলি আফজাল নিকোলাস। সৌজন্যে: ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও।
আরও পড়ুন