চুলের ওপর শারীরিক প্রভাব

অসুস্থতা, মানসিক চাপ কিংবা ওষুধের প্রভাবেও চুলের অবস্থা বারোটা বাজতে পারে।

লাইফস্টাইলডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2019, 12:15 PM
Updated : 10 March 2019, 12:15 PM

মাথা ভর্তি ঘন চুল কে না চায়! তবে শারীরিক অবস্থার উপর অনেকটাই নির্ভর করে চুলের স্বাস্থ্য।

স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে চিকিৎসা-বিজ্ঞানের তথ্যানুসারে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে চুল নষ্ট হওয়ার কয়েকটি শারীরিক কারণ এখানে দেওয়া হল।

পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব: নির্জিব ও পাতলা চুল মানে হয়ত অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার খাচ্ছেন। ফলে পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভালো চর্বি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করছেন না। পর্যাপ্ত রঙিন ফল ও সবজি এবং কমপক্ষে দুতিন রকমের প্রোটিন যেমন- মুরগি, ডিম, মাছ, টফু, সবজি, বাদাম ও দুধের তৈরি খাবার খান। ভালো চর্বি-জাতীয় খাবার যেমন- তৈলাক্ত মাছ, ডার্ক চকলেট এবং জলপাইয়ের তেল ইত্যাদি বাদ দেওয়া যাবে না। এগুলো চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ভিটামিন ডি শোষণে সাহায্য করে। এসবের অভাবে নারীদের চুল পড়া সমস্যা দেখা দেয়।

দাঁতের সমস্যা: গবেষকরা দেখিয়েছেন, দাঁত ও মাড়ির সমস্যার সঙ্গে চুল পড়ার সম্পর্কে রয়েছে। যাদের চুল পড়ে তাদের দাঁতে ক্যাভিটি এবং দুর্বল এনামেলের সমস্যা রয়েছে।

মানসিক চাপ থেকে চুল পড়া: খুব বেশি চুল পড়তে পারে মানসিক চাপ থেকে। অসুস্থতা, গর্ভাবস্থা, হতাশা ইত্যাদির কারণে হওয়া মানসিক চাপ থেকে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। 

জন্ম বিরতিকরণ ওষুধ: জন্ম বিরতিকরণ ওষুধের কারণে চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, রুক্ষ এবং মলিন হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হরমোন বিহীন জন্ম বিরতিকরণ ওষুধ খেতে হবে।

থাইরয়েডের সমস্যা: হঠাৎ করে চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যা হাইপোথাইরোডিজম’য়ের লক্ষণ। থাইরয়েড গ্রন্থি চুলের বৃদ্ধিতে প্রভাব রাখে। যখন এই গ্রন্থি পর্যাপ্ত হরমোন নিঃসৃত করে না তখন চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। আর মাথার তালু খালি হওয়া শুরু হয়।

মানসিক স্বাস্থ্য: মাথার চুল টানার অভ্যাস আছে কী? এই ধরনের অভ্যাস মানসিক অবস্থা ‘ট্রেকোটিলোমেনিয়া’কে নির্দেশ করে। এই সমস্যা থাকার চিহ্ন হচ্ছে, যারা বেশি নিখুঁত হতে চায় তারা সেই কাজ সঠিক ভাবে না করতে পারলে চুল টানতে থাকে। ফলে চুল উঠে যাওয়ার সমস্যা কমে না।

অতি মাত্রায় টেস্টোস্টেরন: অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরনের উৎপাদনের ফলে মাথার তালুতে টাক পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। ফলে ঠোঁটের উপরের অংশে কালো লোম অথবা বগলে ঘন লোম এবং পেটে মেদ দেখা দেয়। পেটের মেদ শরীরে টেস্টোস্টেরনের নিঃসরণ বাড়ায়। তাই পেটের মেদ কমালে এই সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন