দুধ, হলুদ, আদা ও মধু’র ঔষধি গুণ

এসব উপাদান ঔষধি গুণের জন্য পরিচিত। নিয়মিত গ্রহণে সর্দি-ঠাণ্ডা থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি নানান উপকার পাওয়া যায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2019, 08:33 AM
Updated : 10 March 2019, 08:33 AM

পাশাপাশি শরীরও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে দুধ, হলুদ ও মধুর প্রচলিত অথচ প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি উপকারী দিক এখানে দেওয়া হল।

দুধের সঙ্গে হলুদ: নানী দাদীদের পুরান পথ্যের ব্যবহার এখনও দেখা যায়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে উষ্ণ দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে পান করলে ঘুমের মান ভালো করে শরীর সুস্থ রাখে।

ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের পাশাপাশি দুধ মেলাটোনিন তৈরি করতে সাহায্য করে যা ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। হলুদ যোগ করার মাধ্যমে এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত হয় যা ঘুমন্ত অবস্থায় শরীরের ক্ষয় পূরণে সাহায্য করে। পাশাপাশি ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায়।

আদা জলের উপকারিতা: আদার উপকারিতা সবারই জানা। প্রতিদিন এক গ্লাস আদা-জল শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

আদা ভিটামিন এ, সি এবং ই সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীর আর্দ্র রাখে এবং এটা উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এতে পটাশিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়ামের মতো নানান খনিজ উপাদান থাকে। আদার সঙ্গে পানি মিশিয়ে পান করা হলে আর্দ্র থাকার পাশাপাশি এসব উপকারিতা গ্রহণ করা যায়।

বয়োজ্যেষ্ঠরা ঠাণ্ডা, সর্দি এবং কফ সারাতে আদা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এগুলোর পাশাপাশি যকৃতের দুর্বলতার কারণে হওয়া বমি বমিভাব দূর করে আদা। এটা গর্ভবতী নারীদের সকালের দুর্বলতা দূর করতেও সাহায্য করে।

আদা-জল বিপাক বাড়ায়, স্বাস্থ ভালো রাখে, সংক্রমণ দূর করে এবং হজম ক্রিয়া উন্নত করে। আদা জ্ঞানের বিকাশে সাহায্য করে, মস্তিষ্কের দক্ষতা বাড়িয়ে আলৎঝাইমার’স ও পারকিনসন’স -এর মতো রোগের প্রতিকার করে। পাশাপাশি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

আদার জল বানাতে, সোয়া চা-চামচ কুচি করে কাটা আদা এক কাপ পানিতে উচ্চ তাপে ফুটিয়ে নিন। পানি ছেকে ঠাণ্ডা করে নিন। এতে আধা চা-চামচ মধু যোগ করুন আর অর্ধেক লেবুর রস নিন। এটা বেশি কার্যকর। 

অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান সমৃদ্ধ হলুদ ও মধু

ভারতীয় অঞ্চলের মসলা বহুকাল ধরেই ঔষধি উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পোড়া থেকে শুরু করে, কাটাছেড়া ইত্যাদি উপশমে হলুদ ব্যবহৃত হয়। এর প্রধান কারণ, হলুদে আছে চমৎকার কিছু উপাদান।

সাধারণ ঠাণ্ডা থেকে শুরু করে গলা-ব্যথা ইত্যাদি নানান মধু ও হলুদ ওষুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। কারণ এতে আছে ব্যাক্টেরিয়া-রোধী উপাদান।

ওষুধ হিসেবে এই দুই উপাদান খুব সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যায়।

হলুদ ও মধু- দুটোই নানান কাজ করে। যেমন- ঠাণ্ডার সমস্যা, হজম জনিত সমস্যা, কাটাছেড়া, পোড়া, পেশি ও হাড়ের ব্যথা-সহ নানান স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

ভারতীয় ও চীনা আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, হলুদ ওষুধ হিসেবে শত বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

হলুদ ও মধু ব্যবহারের পন্থা

১/৪ কাপ খাঁটি মধু, দুই ফোঁটা লেবুর এসেনশিয়াল অয়েল এবং এক টেবিল-চামচ হলুদের গুঁড়া একসঙ্গে ভালোভাবে মেশান।

একটা পাত্রে তা সংরক্ষন করে ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় রাখুন।  দিনে তিনবার এটা আধা চা-চামচ করে খান। এতে অ্যালার্জি, ঠাণ্ডা বা সর্দি দূরে থাকবে।

আরও পড়ুন-