আজকাল কর্মজীবী বাবা-মা’দের অন্যতম দুশ্চিন্তা, কর্মস্থলে থাকার সময় সন্তানের সঠিক দেখাশোনা, সৃষ্টিশীল উপায়ে সময় কাটানো, পুষ্টিসম্মত খাদ্য গ্রহণ, সুন্দর অভ্যাস গঠন, বয়সমাফিক কাঠামোগত শিক্ষা ইত্যাদি সঠিক উপায়ে ঘটছে কিনা?
বর্তমান সময়ে একক এবং যৌথ- দুই রকম পরিবার ব্যবস্থায় বড় সমস্যাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
আর এই সমস্যার কথা চিন্তা করে সিদ্দিকা খান এবং জাকিয়া’র যৌথভাবে শিশুদের সুন্দর ও মজবুত ভবিষ্যতের গোড়াপত্তনের স্বপ্ন নিয়ে ১৯৯১ সালে ঢাকার ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরে টুইঙ্কলারস’ (Twinklers’) আর্লি-লার্নিং সেন্টার বা ডে-কেয়ার সেন্টার শুরু করেন।
সেই ধারাবাহিকতায়, তাদের সেসব স্বপ্নের নতুন অধ্যায় গুলশান এক’য়ে আজকের টুইঙ্কলারস’, ভবিষ্যতের আকাশে তারা হয়ে জ্জ্বলজ্জ্বল করবে যেসব শিশুরা তাদের উদ্দেশ্যেই আবারও আর্বিভাব সেই পুরাতন প্রচেষ্টার।
সিদ্দিকা খানের মতে, শিশুকালেই গড়ে ওঠে সারাজীবনের ভিত্তি। শিশুকাল মানে অসীম সম্ভাবনা। আর শিশুদের সঠিক মানসিক ও শারীরিক বিকাশে মা-বাবা’র অমূল্য ভূমিকার তিলমাত্র বিকল্প নেই।
তবে সময়ে সময়ে বিবিধ কারণে বিকল্প ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আর্লি-লার্নিং সেন্টার বা ডে-কেয়ার সেন্টার সেসব ক্ষেত্রে ভালো একটি বিকল্প ব্যবস্থা। তবে যেসব আর্লি-লার্নিং সেন্টার এবং ডে-কেয়ার শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিটি শিশুর প্রয়োজন বুঝে কাঠামোগতভাবে সঠিক পদ্ধতিতে তাদের কার্যক্রমগুলো পরিকল্পনা এবং পরিচালনা করতে পারে, শুধুমাত্র সেসব প্রতিষ্ঠানগুলোই হতে পারে বাবা-মা’দের জন্য নিরাপদ ভরসা।
আর্লি-লার্নিং সেন্টার এবং ডে-কেয়ার শিশুদের সঠিক মানসিক ও শারীরিক বিকাশের লক্ষ্যে যেভাবে অবদান রাখতে পারে:
১. শিশুর বয়স অনুযায়ী তার অনুভূতি প্রকাশের ক্ষমতা এবং তার সামাজিকভাবে বিকাশের সঠিক পরিবেশ থাকতে হবে এই সেন্টারগুলোতে। উন্নতমানের আর্লি-লার্নিং সেন্টারগুলো সঠিক পদ্ধতিতে এবং কাঠামোগত উপায়ে শিশুদের মাঝে কিছু মানসিক ও সামাজিক শিক্ষার ভিত্তি গড়ে দেয়। কেমন করে বন্ধুদের সঙ্গে একটি বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়, যাতে আমার বন্ধু আমাকে বিশ্বাস করে এবং আমিও বিশ্বাস করি আমার বন্ধুকে, কেমন করে সেরকম সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলা যায় শিশুর বাবা-মা এবং শিক্ষকের সঙ্গেও। এরকম সব শিক্ষা শিশুদের মাঝে দায়িত্বশীলতার বীজ বুনে দেয়। শিশুকে একটি নিরাপদ পরিবেশ দেওয়া প্রয়োজন যদি তার মাঝে সেরকম বিশ্বাসের বীজ বপন করতে চাই। আর্লি-লার্নিং সেন্টার বা ডে-কেয়ার সেন্টারের শিক্ষকদের হতে হবে অনেক বড় মাপের শিক্ষক কারণ তাদের হাতেই গড়ে উঠছে ভবিষ্যতের মজবুত ভিত্তি। শিশুকে উৎসাহের মাঝে বড় হতে দিতে হবে, তাদের আনন্দের সঙ্গী হতে হবে, তাদের দুঃখকে ভাগ করে নিতে জানতে হবে, তাদের অনুভূতি প্রকাশের সঠিক পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে, মোটকথা, এসব সেন্টারের শিক্ষকদের এবং অন্যান্য সহযোগী যারা আছেন তাদের দায়িত্ব বিশাল।
২. শিশুদের মাঝে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার বীজ বপনের সুন্দর সময় এই শিশুকাল। একটি উন্নতমানের আর্লি-লার্নিং সেন্টার বা ডে-কেয়ার সেন্টার এসব ক্ষেত্রে ভালো কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। শিশুরা নতুন নতুন কাজ শিখতে পারে এখানে এবং বাবা-মা’রও উচিত আর্লি-লার্নিং সেন্টার বা ডে-কেয়ার সেন্টারগুলোর এই লক্ষ্যে পদক্ষেপগুলোকে সহযোগিতা করা। শুধু নিজের কাজ নয় অন্যকে কাজে সাহায্য করারও একটা বড় অভ্যাসে গড়ে ওঠে এই শিশু বয়সেই।
৩. শিশুদের জন্য আর্লি-লার্নিং সেন্টার বা ডে-কেয়ার সেন্টারগুলো যথাযথ আনন্দের সঙ্গে নানা ধরনের শিক্ষাদানের একটা সুন্দর জায়গা হতে পারে। বন্ধু এবং শিক্ষকদের সঙ্গে খেলার মাঝেই তারা শিখে নিতে পারে জীবনের অনেক বড় বড় শিক্ষা যেগুলো হবে তাদের সারা জীবনের গোড়াপত্তন। এসব সেন্টারে শিক্ষকদের বিশেষ বিবেচনার সঙ্গে শিশুদের ভুল-ত্রুটি সংশোধন করার বিষয়টি দেখতে হবে। সকল সময় সংশোধনের মানসিকতা রাখলে চলবে না, তাদের আচরণগুলো ধৈর্য্যরে সঙ্গে অনুধাবণ করতে হবে, বিশ্লেষণ করতে হবে এবং যথেষ্ট চিন্তা প্রয়োগ করে প্রতিটি শিশুর মানসিকতা বুঝে সাজাতে হবে শিক্ষাদান বা সংশোধনের পদ্ধতি।
৪. উন্নত আর্লি-লার্নিং সেন্টার বা ডে-কেয়ার সেন্টারগুলো শিশুদের চিন্তাশক্তিকে বিকশিত করার কাজে সাহায্য করে তাদের ভাষা শিক্ষার একটি মজবুত ভিত্তি গড়ে তুলতে পারে। শিশুরা তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ৯শ’ থেকে ২ হাজার ৫শ’ শব্দ শিখতে পারে। তাদের এই মহামূল্যবান সময়ে আর্লি-লার্নিং সেন্টার বা ডে-কেয়ার সেন্টারের শিক্ষকদেরকে চিন্তাশীলভাবে সঠিক এবং আনন্দদায়ক পদ্ধতি অবলম্বন করে শিশুদের জন্য শিক্ষার পরিবেশ সাজাতে হবে।
৫. এমনকি শিশুদের নিজে নিজে পড়তে শেখার মজবুত একটি ভিত্তি গড়ে ওঠে এ বয়সেই। তাই শিক্ষক এবং বাবা-মা’কে এই বয়সের শিশুকে গুরুত্বের সঙ্গে তাদের সঠিক নিয়মে বেড়ে ওঠার পরিবেশ গড়ে দিতে হবে।
৬. উৎসাহ শিশুদের জন্য একটি ভীষণ বড় সম্পদ। উন্নত আর্লি-লার্নিং সেন্টার বা ডে-কেয়ার সেন্টারে শিশুদের উৎসাহকে লালন করার লক্ষ্যে সাজানো দরকার তাদের সু-শিক্ষার পরিবেশ। এ বয়সেই শিশুদের মাঝে উৎসাহের বীজ বুনে দিতে পারলে শিশু হয়ে উঠবে আরও সৃজনশীল।
৭. সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়, আর্লি-লার্নিং সেন্টার বা ডে-কেয়ার সেন্টারগুলো শিশুদের প্রাক-বিদ্যালয় (Pre-schooling) অধ্যায়ের একটি বিশেষ পরিবেশ গড়ে দিতে পারে, যেখানে অবশ্যই শিশুর সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার গল্প থাকতে হবে, থাকতে হবে স্বপ্ন-বৃক্ষের বীজ বোনার গল্প।
* স্বাস্থ্যকর, আধুনিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক আবাসন ও পরিবেশ।
* আধুনিক ফার্নিচার সমৃদ্ধ আবাসন বাবস্থা ও খেলাধুলার সামগ্রী।
* সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরার নিরাপত্তায় নিশ্চয়তা প্রদান এবং মা-বাবা চাইলে সন্তান সারাদিন কী করছিল, তা দেখতে পারবেন।
* মানসিক বিকাশে বিভিন্ন দিবস যথা- স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস, মাতৃ-ভাষা ও শহীদ দিবস, আন্তর্জাতিক শিশু দিবসসহ নানান দিবসে শিশুদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
* একান্ত আন্তরিকতার সঙ্গে শিশুর দেখাশোনা, কথা বলা ও শিক্ষার ব্যবস্থার নিশ্চয়তা।
* অভিভাবকদের জন্য ওয়াইফাই সম্পূর্ণ ফ্রি।
* সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ও স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর সার্ভিসের বাবস্থা,
* সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আবাসন।
ঠিকানা
টুইঙ্কলারস’ (Twinklers’) - আর্লি লার্নিং সেন্টার অ্যান্ড ডে-কেয়ার।
বাড়ি ১৪, রাস্তা ৬, গুলশান ১, ঢাকা ১২১২, বাংলাদেশ।
যোগাযোগ +৮৮০১৮৪৭-৩৪৯৯৩০
ওয়েবসাইট www.twinklerscare.com
ইমেইল info@twinklerscare.com
ফেইসবুক www.facebook.com/TwinklersCare
লিঙ্কডইন www.linkedin.com/company/twinklers