মাইক্রোওয়েভের পপকর্নের ঝুঁকি

সিনেমা দেখার সময় মাখন মেশানো এক বাটি গরম গরম পপকর্ন না হলে যেন সবকিছুই পানশে। তবে এই পপকর্ন বানানোর পদ্ধতি জানলে তা খাওয়ার আগ্রহও পানশে হয়ে যেতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2019, 11:06 AM
Updated : 13 Feb 2019, 11:06 AM

মাইক্রোওয়েভের সাহায্যে তৈরি করা পপকর্নের ক্ষতির দিক বোঝাতে এর নামকরণ করা হয়েছে ‘পপকর্ন লাংস’। এই রোগে একজন মানুষের দ্রুত দম ফুরিয়ে আসে এবং ফুসফুসে তৈরি হয় প্রদাহ।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ’য়ের করা এক গবেষণায় দেখা যায়, মাইক্রোওয়েভ পপকর্ন প্যাকেটজাতকরণ কারখানার আট জন শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন ‘ব্রঙ্কাইটিস অবলিটেরানস’ নামক রোগে, যার অপরনাম ‘পপকর্ন লাংস’।

এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, পপকর্নে ‘ফ্লেইভারিং’ বা বাড়তি স্বাদ যুক্ত করার সময় এই ধরনের কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন ধরনের জৈব বাষ্পের সংস্পর্শে আসে। এদের মধ্যে একটি হল ‘ডায়াসেটাইল’, যা পপকর্ন মাখনের স্বাদ দেয় এবং ‘পপকর্ন লাংস’ রোগের জন্যও দায়ী।

শুধু কারখানার শ্রমিকরাই যে ঝুঁকিতে আছেন তা নয়, এখানে অন্তর্ভুক্ত আছেন তারাও যারা মাইক্রোওয়েভে তৈরি করা পপকর্ন খেতে পছন্দ করেন।

পপকর্ন মাইক্রোওয়েভ ওভেনে দেওয়া হলে এর প্যাকেটে থাকা ‘ডায়াসেটাইল’ বাষ্পে পরিণত হয়। তাই প্যাকেট খোলার পর এর ঘ্রাণ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 

পপকর্নের প্যাকেটের গায়ে লেখা উপকরণের তালিকা ভালোভাবে পড়া জরুরি। যাতে এতে ‘ডায়াসেটাইল’ আছে কি না তা জানতে পারেন। তবে ‘ডায়াসেটাইল’য়ের বিকল্প হিসেবে যা ব্যবহার করা হয় সেটাও নিরাপদ কি না তা নিশ্চিত নয়। তাই নিজেই ভুট্টা থেকে পপকর্ণ তৈরি খাওয়াটাই হবে নিরাপদ।

যেহেতু সমস্যা বাজারের পপকর্নে নয় বরং এর প্যাকেটের গায়ে লেগে থাকা ফ্লেইভার ও রাসায়নিক উপাদানই ক্ষতিকর, তাই নিজের সংগ্রহ করা ভুট্টা ও মাখন থেকে ভুট্টা তৈরি করলেই খাবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন