ছোটবেলায় দাঁত ব্রাশ করতে ইচ্ছে না করলেও টুথপেস্ট খাওয়ার স্মৃতি আছে অনেকেরই। এযুগের শিশুরাও এর ব্যতিক্রম নয়।
গবেষণা বলে, অতিরিক্ত টুথপেস্টের ব্যবহার থেকে ‘ডেন্টাল ফ্লুরোসিস’ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জন্মের পর প্রথম আট বছর অতিরিক্ত ‘ফ্লুরাইড’য়ের সংস্পর্শে আসলে তাতে দাঁতের যে ক্ষতি হয় তাকেই বলা হয় ‘ডেন্টাল ফ্লুরোসিস’।
‘ফ্লুরাইড’ খনিজ পাওয়া যায় পানি ও মাটিতে। আজ থেকে প্রায় ৭০ বছর আগে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন যে, যাদের দৈনন্দিন পান করার পানিতে ‘ফ্লুরাইড’ বেশি আছে তাদের দাঁতে ক্যাভিটির মাত্রা কম।
সে থেকেই সাপ্লাইয়ের পানি, টুথপেস্ট, মাউথওয়াশ ইত্যাদিতে ‘ফ্লুরাইড’ যোগ করা শুরু হয়।
তবে গবেষণায় দেখা যায়, দাঁত যখন মাত্র বড় হচ্ছে, সেসময় অতিরিক্ত ‘ফ্লুরাইড’য়ের সংস্পর্শে আসলে দাঁতে সাদা দাগ পড়ে যায়, যাকে বলা হয় ‘ডেন্টাল ফ্লুরোসিস’।
এই গবেষণায় আরও বলা হয়, দাঁত ব্রাশ করার জন্য একটি মটরশুঁটির দানার পরিমাণ টুথপেস্ট ব্যবহার করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে তিন থেকে ছয় বছর বয়সি প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু পুরো ব্রাশ ভরে কিংবা আধা ব্রাশ ভরে টুথপেস্ট নেয়।
ডেইলি মেইল’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিকাগোর পিডিয়াট্রিক ডেন্টিস্ট মেরি হেইস বলেন, “ফ্লুরাইড’ একটি চমৎকার এবং উপকারী খনিজ, তবে এর ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।”
গবেষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন‘য়ের গবেষকরা তিন থেকে ১৫ বছর বয়সি পাঁচ হাজার শিশুর বাবা-মায়ের সঙ্গে কাজ করেন।
অতিরিক্ত টুথপেস্ট ব্যবহারের কারণে কতজন শিশুর দাঁতে সাদা দাগ দেখা দিয়েছে তা জানতে পারেননি গবেষকরা। তবে তিন বছরের কম বয়সি শিশুদের দাঁত ব্রাশ করানোর ক্ষেত্রে একটি চালের দানা পরিমাণ টুথপেস্ট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
হেইস’য়ের কথায়, “টুথপেস্ট কোনো খাবার নয়। শিশুদের এর থেকে বিরত রাখতে বাবা-মাকেই টুথপেস্ট ও টুথব্রাশ নিয়ন্ত্রণে করতে হবে।”
ছবি: দীপ্ত।
আরও পড়ুন