স্মৃতিশক্তির ওপর খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব

শুধু দেহেই নয়, খাদ্যাভ্যাস আমাদের স্মৃতিশক্তির ওপরেও প্রভাব ফেলে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Jan 2019, 09:28 AM
Updated : 31 Jan 2019, 09:28 AM

আর এই তথ্য মিলেছে যুক্তরাষ্ট্রের লোয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা গবেষণায়।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই গবেষণার ওপর করা প্রতিবেদনে জানানো হয়, গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে, ‘কোলেসিস্টোকিনিন (সিসিকে)’ নামক এক তৃপ্তিদায়ক হরমোন স্মৃতি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এই হরমোন উচ্চমাত্রায় গ্রহণ করা হলে তা একজন ব্যক্তির আলৎঝাইমার’স রোগ হওয়ার আশঙ্কা ৬৫ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে।

‘নিউরোবায়োলজি অফ এইজিং’ শীর্ষক জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক অরিয়েল উইলেট বলেন, “সিসিকে হরমোনটি পাওয়া যায় ক্ষুদ্রান্ত্র ও মস্তিষ্কে। ক্ষুদ্রান্ত্রে এটি চর্বি আর প্রোটিন শোষণে সহায়তা করে। আর মস্তিষ্কে এটি ‘হিপোক্যাম্পাস’ নামক স্থানে থাকে, যেখানে স্মৃতি তৈরি হয়।”

তিনি আরও বলেন, “কখন এবং কী পরিমাণে একজন মানুষ খাবার গ্রহণ করে সেটার সঙ্গে তার স্মৃতিশক্তির প্রখরতার সম্পর্ক থাকতে পারে। কারণ আমরা কী খাই এবং আমাদের শরীর সেই খাবার কী কাজে লাগায় সেটার মাধ্যমে আমাদের মস্তিষ্ক প্রভাবিত হয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের বিশ্বাস, মানুষের রক্ত এবং মস্তিষ্কে থাকা তৃপ্তিদায়ক হরমোন কীভাবে তার মস্তিষ্কের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে তা সম্পর্কে ভবিষ্যতে আমরা আরও তথ্য দিতে পারব।”

এই গবেষণা মানুষকে খাবারের ক্যালরির হিসাব করার পাশাপাশি তার পুষ্টিগুণ নিয়ে সচেতন হতে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আশা করছেন গবেষকরা।

‘ফাস্টিং গ্লুকোজ’ আর ‘কিটোন বডি’ নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে কীভাবে খাদ্যাভ্যাস একজন ব্যক্তির সিসিকে হরমোনের মাত্রাকে প্রভাবিত করে সেটাই বর্তমানে পর্যবেক্ষণ করছেন এই গবেষণার প্রধান লেখক এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে শিক্ষার্থী আলেকজান্দ্রা প্ল্যাগম্যান।

তিনি বলেন, “খাদ্যাভ্যাসের পুষ্টিগুণ পর্যালোচনা করলে কোন খাদ্যাভ্যাস আলৎঝাইমার’স রোগ প্রতিরোধ কিংবা এর তীব্রতা প্রতিরোধ করতে পারে তা জানা যেতে পারে।”

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন