কুসুম ছাড়া ডিম খাওয়ার দরকার নেই। বরং অপরিশোধিত আটার রুটির সঙ্গে আস্ত ডিম খেলে পেট ভরা থাকবে অনেক্ষণ।
Published : 29 Jan 2019, 07:08 PM
প্রোটিনের আদর্শ উৎস ডিম। দামে কম, সহজলভ্য, রান্না করা কঠিন না, সংরক্ষণ করা যায় সহজে। ডিমের মতো এত বহুমুখী খাবার দ্বিতীয়টি আছে কি না সন্দেহ।
সিদ্ধ, ওমলেট, স্ক্রাম্বল্ড কিংবা পোচ- নানান উপায়ে সুস্বাদু করে খাওয়া যায় ডিম। আর কত রকম খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে একে খাওয়া সম্ভব তা বলে শেষ করা যাবে না।
ডিমকে প্রোটিনের অন্যতম উৎস হিসেবে বেছে নিলে কিছু বিষয় জানা প্রয়োজন। পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে সেগুলোই এখানে জানানো হল।
কুসুম বাদ নয়: ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কমবেশি সবারই ধারণা আছে। তবে ডিমের কুসুমের ভালো-মন্দ দিকগুলো নিয়ে ভুল ধারণা পোষণ করেন অনেকেই। ভুল ধারণাবশত অনেকেই ডিম খান কুসুম বাদ দিয়ে।
একটি ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। সেখান থেকে কুসুম বাদ দিলে ওই ডিম থেকে প্রায় ৪ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন, বাকি দুই গ্রাম নষ্ট।
প্রয়োজনীয় প্রোটিনের পরিমাণ: ওজন কমাতে এবং পেশি গঠন করতে প্রোটিন অত্যন্ত জরুরী একটি উপাদান। বিশেষজ্ঞদের মতে, শারীরিক ওজন ভেদে একজন স্বাভাবিক মানুষের দৈনিক ৬০ থেকে ৯০ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন।
ভিন্নতাই প্রধান শর্ত: প্রতিদিনের প্রোটিনের এই চাহিদা যে শুধু ডিম দিয়ে পূরণ করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে ডিমকে প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর প্রধান উৎস হিসেবে বেছে নিলে খাদ্যাভ্যাসে যত বেশি ডিম রাখা যায় ততই মঙ্গল। আর যদি শুধু সাদা অংশ খান তবে আরও বেশি ডিম খেতে হবে।
খাদ্যাতালিকায় ডিম বেশি থাকলে অন্যান্য প্রোটিন থাকাও গুরুত্বপূর্ণ।
‘ব্ল্যাক বিন্স’, ‘কিডনি বিন্স’, পনির ইত্যাদি ডিমের সঙ্গে যোগ করতে হবে, যাতে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন শরীরে যায়।
ডিম দিয়ে স্বাস্থ্যকর নাস্তা
- ফেটে নেওয়া ডিমের সঙ্গে পালংশাক, মাশরুম ও ক্যাপ্সিকাম যোগ করলে পর্যাপ্ত প্রোটিন ও পুষ্টি উপাদানের আদর্শ মিশ্রণ তৈরি হবে।
- অ্যাভোকাডোর সঙ্গে সিদ্ধ ডিম মিশিয়ে খেলে প্রোটিনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর চর্বিও মিলবে।
- চিজ দিয়ে ওমলেট বানাতে পারেন। সঙ্গে আরও থাকতে পারে দারুচিনি ও পালংশাক। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে।
- ডিম পোচ সবসময়ের জন্যই মুখরোচক আনন্দদায়ক খাবার।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন-