স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে বৈদ্যুতিক হিটার ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরা হল।
আর্দ্রতা: বৈদ্যুতিক হিটার চালু করলে তা থেকে বের হওয়া উষ্ণ বাতাস ঘরের বাতাসের আর্দ্রতা শুষে নেয়। ফলে ঘরের বাতাস শুষ্ক হয়ে যায়। যে কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে চুলকানি হতে পারে।
তবে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই শুষ্ক বাতাস নবজাতকের ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, কারণ তাদের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল।
হাঁসফাঁস অনুভূতি: এই সমস্যার কারণও বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়া। তাই যাদের এরমধ্যে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে তাদের বৈদ্যুতিক হিটার ব্যবহার হচ্ছে এমন ঘরে দম বন্ধ অনুভুতি হতে পারে।
সমস্যা সমাধানের জন্য যে ঘরে হিটার চলছে সেই ঘরে এক বালতি পানি রেখে দিতে পারেন। আর সেই ঘরে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে পারেন।
শরীরের তাপমাত্রা: হিটার ব্যবহার করা হচ্ছে এমন ঘরে কিছুক্ষণ থাকলে শরীর ওই ঘরের তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেয়। তবে অন্যান্য ঘরগুলোতে স্বাভাবিক ঠাণ্ডা আবহাওয়াই থেকে যায়। ফলে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে যাওয়ার সময় শরীরের তাপমাত্রায় হঠাৎ পরিবর্তন আসে, যা অসুস্থ করে তুলতে পারে।
দুর্ঘটনা: প্রতিনিয়ত বৈদ্যুতিক হিটার ব্যবহার দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ায়। ঘরে শিশু থাকলে তারা খেলতে খেলতে এই হিটারে শরীর পুড়িয়ে ফেলতে পারে। আবার অসাবধানতায় নিজেও আহত হতে পারেন।
করণীয়
হিটার যখন প্রয়োজন নেই তখন বন্ধ রাখতে হবে। যন্ত্রটি চালু থাকুক কিংবা বন্ধ- এর উপর কোনো অবস্থাতেই কিছু রাখা যাবে না। যারা প্রতিনিয়ত হিটার ব্যবহার করেন তাদের অবশ্যই ঘরে একটি পাত্রে পানি রাখা উচিত, যাতে ঘরের বাতাসে আর্দ্রতা বজায় থাকে।
হিটারের খুব কাছে বসে তাপ পোহানো উচিত নয়। আর হিটারের বৈদ্যুতিক সংযোগ কখনই লম্বা তারযুক্ত সকেটে দেওয়া ঠিক হবে না।
আরও পড়ুন