পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৫:৭ অনুপাতে যথাক্রমে ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।।
তবে বেশিরভাগ সময় হয় শুধু সবজি নয়ত শুধু ফলের সালাদ খেয়ে আমরা ভাবতে থাকি, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা হয়েছে।
অনেকে শুধু ফলের সালাদ খেয়ে মনে করতে থাকেন এতেই কাজ হবে। আসলে ব্যাপারটা অত সোজা নয়।
কয়েক ধরনের ফল একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীরকে একই সময়ে কয়েক ধরনের পুষ্টি উপাদান নিয়ে কাজ করতে হয়। যা আপাতদৃষ্টিতে ভালো মনে হলেও আসলে তা নয়।
আমাদের দেহ একসঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু পুষ্টি উপাদান হজম করতে পারে। অর্থাৎ একসঙ্গে অনেকগুলো পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করলে শরীরে কাজে লাগে সামান্য, বাকি সবই যায় বৃথা।
তাই সবসময় উচিত একটি আস্ত ফল খাওয়া। কেটে কিছু সময় রেখে দিয়ে নয়, সদ্য কাটা অবস্থায় খাওয়া।
ভারতের অ্যাপোলো হাসপাতালের পুষ্টিবিদ ডা. প্রিয়াংকা রোহাতগি বলেন, “একাধিক ফলের মিশ্রণ খাওয়া ক্ষতিকর নয়। তবে একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি ফল পুরোটা খাওয়াই শ্রেয়। আর খেতে হবে দুবেলার খাওয়ার মাঝামাঝি সময়ে।”
তিনি আরও বলেন, “ফল কাটার সঙ্গে সঙ্গেই খেয়ে ফেলতে হবে। আপেল, নাশপাতি ইত্যাদি ফল খোসাসহ খাওয়া বেশি উপকারী।
ফলের ‘অক্সিডেশন’
প্রাকৃতিক রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ফলের পুষ্টি উপাদান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াকে বলা হয় ‘অক্সিডেশন’। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই কাটা আপেল সাদা থেকে বাদামি বর্ণ ধারণ করে।
ফলের খোসা তুলে ফেলা কিংবা তা ফালি করে কাটা পরপরই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়।
এমনটা হওয়ার কারণ হল, ফল কাটলে এর ‘সেল মেমব্রেন’ অর্থাৎ কোষের ঝিল্লি কেটে গিয়ে সেখানে অক্সিজেন প্রবেশ করে। তাপ, ‘অক্সিডেশন’ এবং পানি হল ফলের পুষ্টি উপাদানের সবচাইতে বড় শত্রু।
আসল কথা হল
কাটার পর ফল যত বেশি সময় আলোবাতাসে সংস্পর্শে থাকবে, ততই পুষ্টিগুণ হারাতে থাকবে।
তাই ফল সরাসরি সূর্যের আলো থেকে দূরে শুষ্ক শীতল স্থানে রাখতে হবে। এছাড়া, না কেটে খাওয়া সম্ভব হলে অযথাই তা কাটা বা তার খোসা ছাড়ানো উচিত নয়।
ছবি: দীপ্ত।
আরও পড়ুন