শীতে খেজুর খাওয়া ভালো

খেজুরে রয়েছে গ্লুকোজ, শুক্রোজ ও ফ্রুক্টোজ। যা শীতে মানব দেহ উষ্ণ রাখতে ও সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2019, 10:17 AM
Updated : 16 Jan 2019, 10:17 AM

পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে খাদ্য ও পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে শীতের সময় খেজুর খাওয়ার উপকারিতাগুলো এখানে দেওয়া হল।

ঠাণ্ডার বিরুদ্ধে কাজ করে: শীতে ঠাণ্ডা সারাতে খেজুর খাওয়া সবচেয়ে ভালো।

ফুটন্ত পানিতে দুতিনটি খেজুর, এক চিমটি কালো গোল মরিচ, এলাচের গুঁড়া ছেড়ে দিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই পানীয় পান করুন। সকালেই এর ফলাফল দেখতে পাবেন।

শরীর গরম রাখে: খেজুর উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ। এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা শীতে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে গরম দুধের সঙ্গে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: এটা প্রমাণিত যে, খেজুরে থাকা উচ্চ ম্যাগ্নেসিয়াম ও পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রক্ত চাপের সমস্যা আছে এমন রোগীদের স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা দৈনিক পাঁচ থেকে ছয়টি খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেন।

বাতের ব্যথা কমায়: বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে নিয়মিত খেজুর খেলে বাতের ব্যথা দূর হয়। কারণ এতে আছে প্রদাহ নাশক উপাদান।

হৃদপিণ্ড ভালো রাখে: শীতকালে নিয়মিত খেজুর খাওয়া হলে হৃদস্পন্দনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ‘হার্ট অ্যাটাকের’ ঝুঁকি হ্রাস পায়।

বিশ্বাস করা হয় যে, খেজুরে থাকা আঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হৃদপিণ্ড সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধান: খেজুর উচ্চ খাদ্য আঁশ সমৃদ্ধ। যা হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এর দ্রবণীয় আঁশ হজমক্রিয়ায় সহায়তা করে মলত্যাগে সাহায্য করে।

শক্তি বর্ধক: খেজুরের প্রাকৃতিক শর্করা তাৎক্ষণিক শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। শরীরচর্চার পরপরই খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

হাঁপানি দূর করে: শীতে তাপমাত্রার পরিবর্তনের জন্য অনেকেরই হাঁপানির সমস্যা দেখা দেয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ও আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে প্রতিদিন সকালে ও আর বিকালে দুএকটা খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেয়। যা শরীর গরম রাখে। ফলে যখন তখন হাঁপানির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন