ঠাণ্ডা-জ্বরের জীবাণু থেকে বাঁচতে

ঠাণ্ডা ও ফ্লু’র ভাইরাস দরজার হাতল কিংবা যে কোনো পরিবেশে টিকে থাকতে পারে অনেক্ষণ। তাই সাবধান হতে হবে ঘরের বাইরেও।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Jan 2019, 12:17 PM
Updated : 20 Jan 2019, 11:20 AM

মৌসুমী সর্দি-কাশি, জ্বরের জন্য আমরা ঋতু পরিবর্তনকে দায়ী করি। তবে একজন আক্রান্ত ব্যক্তির জীবাণুর সংক্রমণেও আপনি আক্রান্ত হতে পারেন।

কারণ শুধু বাতাসেই নয় বিভিন্ন স্থানে জ্বর-কাশির জীবাণু ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। যা থেকে ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

সহকর্মীর হাঁচি থেকে না হয় নিজেকে দূরে রাখলেন। কিংবা বাসায় থাকা মানুষটি ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হলে নিজে সতর্ক থাকলেন। তবে সন্তানকে যে স্কুলে পাঠাচ্ছেন কিংবা নিজে যে গণপরিবহনে চড়ছেন সেখান থেকেও ঠাণ্ডা-কাশির জীবাণুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস)’য়ের মতে, এক ধরনের ঠাণ্ডার জীবাণু ‘রেসপিরাটরি সিনসিশল ভাইরাস’ আক্রান্ত ব্যক্তির হাত, দরজার হাতল ইত্যাদির মতো সাধারণ স্থানে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত জীবিত এবং সংক্রমণক্ষম থাকে।

হাতল ধরতে সাবধান

চিকিৎসাবিজ্ঞানের বরাত দিয়ে স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, একটি নির্দিষ্ট স্থানে ভাইরাস কতক্ষণ বেঁচে থাকবে তা নির্ভর করে ওই স্থানের পরিবেশ-পরিস্থিতির উপর।

তাই ঝাঁকি বাঁচাতে বাসের হাতল বা সিট ধরার পর যত দ্রুত সম্ভব হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।

ফ্লু’ ভাইরাসের কই মাছের প্রাণ

কই মাছ যেমন সহজে মরে না, জীবাণুর মধ্যে ফ্লু’য়ের ভাইরাসের প্রাণও তেমন শক্ত। কঠিন ও মসৃণ জায়গায় এই ভাইরাস প্রায় ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে। প্রশ্ন জাগতে পারে শীতকালে ফ্লু’য়ের সংক্রমণ এত বেড়ে যায় কেন?

কারণ হল, এই ভাইরাস বাতাসেও দীর্ঘসময় বেঁচে থাকতে পারে। আর শীতল পরিবেশে এর জীবনী-শক্তি আরও বেড়ে যায়।

সংক্রমণ রোধের উপায়

সর্দি, কাশি, ফ্লু সবগুলোই বেশিরভাগ সময় একজন মানুষ থেকে আরেকজন মানুষের শরীরের সংক্রমিত হয়। তবে জীবাণুযুক্ত স্থান স্পর্শ করার মাধ্যমে সংক্রমণের আশঙ্কাও প্রকট।

তাই প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ স্পর্শ করে এমন যে কোনো স্থান স্পর্শ করার থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তবে তা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না।

তাই বাস্তবধর্মী কার্যকর সমাধান হবে নিজের হাত পরিষ্কার রাখা।

গণপরিবহনে যাত্রা শেষে, সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত শৌচাগার ব্যবহারের পর, একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করে এমন গ্যাজেট ব্যবহার- অর্থাৎ বহু মানুষের হাত পড়ে এরকম জায়গায় থেকে আসার পর সাবান ব্যবহার করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে নিজের হাত পরিষ্কার করতে হবে।

তবে বিপত্তি এখানেও আছে। সবসময় হাত পরিষ্কার করার সুবিধা হাতের নাগালে থাকবে না। আর থাকলেও আমাদের চারপাশে এত সম্ভাব্য জীবাণুর আস্তাকুঁড় আছে যে হাত ধুতে ধুতেই ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।

এক্ষেত্রে প্রিয় বন্ধু এবং সবসময়ের সঙ্গী হওয়া চাই হ্যান্ড স্যানিটাইজার। ব্যাগে সবসময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকলে যে কোনো সময় যে কোনো পরিস্থিতিতে হাত পরিষ্কার করে নেওয়া সম্ভব হয়।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন