বর্ষফল ২০১৯

বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি কেমন যেতে পারে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Jan 2019, 06:37 AM
Updated : 1 Jan 2019, 06:37 AM

১ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার, বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ১ মিনিটে ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র মতে প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক নৈসর্গিক রাশিচক্রে গ্রহ ও নক্ষত্রের অবস্থান। 

চন্দ্র ও শুক্র আছে বায়ূ রাশি তুলায়। বুধ ও বৃহস্পতি আছে জলজ রাশি বৃশ্চিকে, প্লুটো, শনি ও রবি আছে অগ্নি রাশি ধনুতে, রাহু ও কেতু আছে যথাক্রমে জলরাশি কর্কট ও মৃত্তিকা রাশি মকরে। নেপচুন আছে বায়ূ রাশি কুম্ভ রাশিতে, মঙ্গল আছে জলজ রাশি মীন রাশিতে, ইউরেনাস আছে অগ্নিরাশি মেষ রাশিতে।

প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের জন্য ২০১৯ হবে ঘটনাবহুল একটি বছর। সাফল্য ও সমৃদ্ধির পাশাপাশি নানারকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় বছরজুড়ে আলোচিত থাকবে।

দেশের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বাড়তি সচেতনতার প্রয়োজন হতে পারে।

দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ণ ক্রমাগত অব্যাহত থাকবে। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেলসহ চলমান অধিকাংশ কার্যক্রমের অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে।

মার্চের ৩ তারিখ রাহু মিথুন রাশিতে প্রবেশ করবে। এ সময় থেকে বছরের বাকিটা সময় সার্বিক নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। এভিয়েশন খাতে রহস্যময় কোনো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

দেশের অর্থব্যবস্থায় বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবস্থার অবনতি হতে পারে। আমদানী ও রপ্তানি বাণিজ্যে কোনো ধরনের গোলযোগের সম্ভাবনা রয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তিখাতে দেশের উন্নয়ণ অব্যাহত থাকবে। বিদেশি দাতা ও পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে নজর বাড়াতে হবে।

রহস্যজনক ঘটনার কারক নেপচুনের কুম্ভ রাশিতে অবস্থান ও সিংহ রাশিতে দৃষ্টির ফলে বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য বছরটি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। জলপথে আমদানি ও রপ্তানি বৃদ্ধি পেতে পারে।

তরুণ ও বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য হাতে কলমে কাজের দক্ষতা অর্জনের সুযোগ সম্প্রসারিত হবে। কারিগরি শিক্ষায় তরুণদের আগ্রহ আগের চেয়ে বাড়বে।

সরকার ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আন্দোলনের জন্যে নতুন কোনো কৌশল অবলম্বন করতে পারে।

দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। শিক্ষা ও গবেষণায় দেশ বিদেশে বাংলাদেশিদের সাফল্য ও অগগ্রতি দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে।

শিক্ষাক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখার প্রয়োজন পড়বে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ব্যাপারে বাড়তি সচেতনতার প্রয়োজন হতে পারে। কারিগরি ও বুদ্ধিবৃত্তিক কাজে তরুণদের সাফল্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাবে।

মিডিয়া ও গণমাধ্যম কর্মীদের দায়িত্ব পালনে সচেতনতার প্রয়োজন হতে পারে। অসতর্কতায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেশের বিভিন্ন বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ পেতে পারে।

আন্তর্জাতিক সেবা ও গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম বৃদ্ধি পেতে পারে। কিছু দুষ্ট লোকের অপচেষ্টায় দেশের সম্মান ও সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সরকারের অবস্থান ও কার্যক্রম নিয়ে স্বদেশ ও বিদেশে প্রচুর আলোচনার জন্ম নেবে। দলের অভ্যন্তরে যাতে ভুল বোঝাবুঝির শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ রাখার প্রয়োজন পড়বে।

দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও সময়োপযোগী গবেষণার সুফল দেশের মানুষ পেতে শুরু করবে।

সাময়িকভাবে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি জনজীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। সরকারের অর্জন ও প্রবৃদ্ধি দেশের জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়ণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সবমিলিয়ে প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের জন্য বছরটি ভালো কাটুক। সুখকর ও স্বস্তিময় হোক। এই আমাদের প্রত্যাশা।

লেখক: ফজলে আজিম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রলজার্স সোসাইটি। ইমেইল: fazleazim09@gmail.com