আর এই তথ্য মিলেছে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের শেপার্ড প্রাট হেল্থ সিস্টেমের এক গবেষণায়।
‘প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট’ অন্ত্রের প্রদাহ সারাতে সহায়ক হতে পারে। অন্ত্রের প্রদাহ ডেকে আনে ‘বাইপোলার ডিজঅর্ডার’ ও মানসিক সমস্যা, মন্তব্য গবেষকদের।
‘বাইপোলার ডিজঅর্ডার’ হল এক ধরনের মানসিক সমস্যা যার উপসর্গের মধ্যে আছে মুহূর্তেই মন মেজাজের ব্যাপক পরিবর্তন। যেমন- হতাশা থেকে পাগলামি।
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের শেপার্ড প্রাট হেল্থ সিস্টেমের ফেইথ ডিকারসনের করা এই গবেষণা অনুযায়ী, ‘প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট’য়ের উদ্দেশ্য হল অন্ত্রে ‘মাইক্রোবায়াল’য়ের তারতম্যে কারণে হওয়া প্রদাহ কমানো। ‘প্রোবায়োটিক’য়ের উপাদান হল ‘নন-প্যাথোজেনিক’ ব্যাকটেরিয়া যা অন্ত্রের ‘ফ্লোরা’ বা হজম প্রণালিতে থাকলে শরীরের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
গবেষকরা দেখান, যেসব অংশগ্রহণকারীদের ‘প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট’ দেওয়া হয় তারা পরে হাসপাতালে এসেছেন অন্যান্যদের তুলনায় দীর্ঘসময়ের ব্যবধানে। পাশাপাশি অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের তুলনায় তাদের চিকিৎসায় সময়ও কম লাগছে।
এছাড়াও গবেষণার শুরুতে যেসব রোগীর প্রদাহের মাত্রা সবচাইতে বেশি ছিল ‘প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট’য়ের উপকারী দিকগুলো তাদের ক্ষেত্রে ছিল প্রকট।
ফ্লোরিডাতে অনুষ্ঠিত আমেরিকান কলেজ অফ নিউরোসাইকোফার্মাকোলজি’র বার্ষিক সম্মেলনে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
বর্তমানে এই রোগের চিকিৎসা হল- মেজাজ স্থিতিশীল রাখার ‘সাইকোথেরাপি’ এবং ‘অ্যান্টিসাইকটিক্স’ ধরনের ওষুধের মিশ্রণ।
গবেষকরা বলেন, “অন্ত্রের প্রদাহে পরিবর্তন মানসিক সমস্যার পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনতে সক্ষম আর এই প্রভাব ‘বাইপোলার ডিজওর্ডার’য়ের চিকিৎসায় আনতে পারে নতুন মাত্রা।”
গবেষণার জন্য পাগলামির কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া একদল রোগীকে ছয় মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই রোগীদের মন-মেজাজ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর ‘প্রোবায়োটিক’ চিকিৎসার প্রভাব পর্যালোচনা করেন গবেষকরা।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন