অ্যাপল সাইডার ভিনিগার গ্রহণের সঠিক পন্থা

ঠিকভাবে পান না করলে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ওজন কমানোর কাজে প্রভাবও ফেলবে না।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2018, 09:38 AM
Updated : 13 Dec 2018, 09:38 AM

হাজারো বছর ধরে এই ভিনিগার মানুষ ব্যবহার করে আসছে। যা তৈরি হয় আপেলের রস থেকে, সঙ্গে ইস্ট মিশিয়ে আপেলের চিনিকে অ্যালকোহলে পরিণত করা হয়। পরে ব্যাকটেরিয়া যোগ করে অ্যালকোহলকে বানানো হয় অ্যাসিটিক অ্যাসিড।

পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, এই অল্প ক্যালরির মিশ্রণে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং পটাশিয়াম। শরীরের বিভিন্ন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও বিষাক্ত উপাদান দূর করতে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার আদর্শ উপাদান।

এছাড়াও ওজন কমাতে এবং পেটের চর্বি ঝরাতেও উপকারী, এমনটাই দাবি করে একাধিক গবেষণা। এর পেছনে মূল হোতা এতে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড।

ক্যালরি কম: ১০০ গ্রাম অ্যাপল সাইডার ভিনিগারে থাকে মাত্র ২২ ক্যালরি। সকালে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে খেলে বাড়বে বিপাক ক্রিয়ার গতি, ঝরবে পেটের চর্বি।

চর্বি জমতে বাধা: অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের মূল উপাদান হল অ্যাসিটিক অ্যাসিড, যা শরীরে চর্বি জমতে বাধা দেয়। তাই প্রতিদিন এটি গ্রহণ করলে স্থূলতার কবল থেকে বাঁচতে পারবেন।

পেট ভরা রাখে: ‘জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশন’ নামক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, অ্যাপল সাইডার ভিনিগারে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখে। ফলে বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায়।

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যাপল সাইডার ভিনিগার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কার্যকরী এবং স্বাস্থ্যকর ওজন হ্রাস নিশ্চিত করতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যবহার পদ্ধতি

- অ্যাপল সাইডার ভিনিগার কখনই সরাসরি পান করা যাবে না। পানিতে মিশিয়ে পান করতে হবে যাতে বেশি পরিমাণে অ্যাসিড পেটে না যায়।

- অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে একে ড্রেসিং হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

- খাওয়ার আগে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার পান করা ভালো। আর এক ডোজ একেবারে পান না করে দুই থেকে তিনবারে পান করতে হবে।

- অতিরিক্ত মাত্রায় এই ভিনিগার পান করলে গলায় জ্বালাভাব কিংবা অ্যাসিড রিফ্লাক্স হতে পারে।

খেয়াল করুন

ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত অ্যাপল সাইডার ভিনিগার পান শুরুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আর মনে রাখতে হবে, শুধু অ্যাপল সাইডার ভিনিগার পান করলেই ওজন কমবে না, সঙ্গে থাকতে হবে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চাও।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন