স্বাস্থ্যবিষয়কএকটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এখানে কয়েকটি লক্ষণ সম্পর্কে জানানো হল যাশারীরিক সমস্যা নির্দেশ করে।
শুষ্ক ত্বক ও ঠোঁট:আবহাওয়া যেমনই হোক ঠোঁট যদি সবসময় শুষ্ক থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারীনন। সাধারণত পানিশূন্যতার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়। এছাড়া হাইপোথাইরোডিজম এমনকি ডায়াবেটিসেরজন্যেও হতে পারে।
মুখে অবাঞ্ছিত লোম:গাল, ঠোঁটের উপর ও থুতনির নিচের অংশে লোম দেখা দিলে তা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সংকেতহতে পারে। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম এক ধরনের হরমোনের রোগ যা নারীদের মাঝে দেখা দেয়।
চোখের নিচের অংশ: চোখেরনিচের অংশের ফোলাভাব ও দাগ কেবল সৌন্দর্য নষ্ট করে না বরং সমগ্র স্বাস্থ্য-ঝুঁকিও নির্দেশকরে। চোখ যদি ক্লান্ত ও ফোলা দেখায় তাহলে তা দীর্ঘস্থায়ী অ্যালার্জি থাকার সম্ভাবনাকেনির্দেশ করে।
মলিন ত্বক:গায়ের রংয়ের কোনো পরিবর্তন যদি চোখে পড়ে অথবা তা যদি ফ্যাকাশে লাগে অথবা ত্বকে হলুদাভভাব দেখা দেয় তাহলে অ্যানেমিয়া বা রক্তাল্পতার লক্ষণ হতে পারে।
র্যাশ:মুখে র্যাশ বা ফুসকুড়ি দেখা দেয় সাধারণ হজম সমস্যা থেকে। যেমন- অন্ত্রের প্রদাহ (আইবিডি)যা বৃহদান্ত্রে প্রভাব ফেলে। যার প্রভাব ত্বকে দেখা যায়।
নতুন আঁচিল:আঁচিল সাধারণত দুশ্চিন্তার কারণ নয়। তারপরেও নতুন আঁচিল দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শনেওয়া প্রয়োজন। আগের আঁচিলের রংয়ের পরিবর্তন, আকারের পরিবর্তন, রক্ত পড়া বা চুলকানিরসমস্যা দেখা দিলেও চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।
চুল পড়া:চুল পড়া মানেই কষ্টদায়ক ব্যাপার। পাশাপাশি যদি ভ্রু ও চোখের পাপড়িও পড়তে থাকে তাহলেতা ঝুঁকির কারণ। অতিরিক্ত মানসিক চাপের পাশাপাশি তা অটোইমিউন রোগের লক্ষণ। এই রোগেরকারণে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভুল করে সুস্থ কোষে আক্রমণ করে বসে। আর ‘অ্যালোপেসিয়াঅ্যারিয়াটা’ এমন এক ধরনের রোগ, যা রোগ প্রতিরোধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চুলের ফলিকল নষ্টকরে দেয়।
মুখ অন্য রকম দেখায়:মুখের অসমতা স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে যদি নিজের মুখকে অন্যরকমঅথবা একপাশ অনুভূতিহীন লাগলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ছবির প্রতীকী মডেল: আফসানা মিমি। মেইকআপ: মিমি। ছবি:ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও।
আরও পড়ুন