মেয়াদ শেষে আয়কর বিবরণী জমা দিতে

বিলম্ব ফি দিয়ে ২ ডিসেম্বরের পরেও রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2018, 07:05 AM
Updated : 28 Nov 2018, 07:05 AM

রিটার্ন দাখিল দুই দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩০ নভেম্বরের পরিবর্তে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যক্তি করদাতা তার রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।

দুই দিন সময় বৃদ্ধি পেলেও কেউ কেউ হয়ত এই সময়ের মধ্যেও রিটার্ন জমা দিতে পারবেন না। এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। বিলম্ব ফি দিয়ে ২ ডিসেম্বরের পরেও রিটার্ন দাখিল করা যায়।

সেক্ষেত্রে সময় বাড়ানোর জন্য নির্ধারিত ফর্মে উপযুক্ত কারণ উল্লেখ করে উপ কর কমিশনারের কাছে সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করতে হবে।

উপ কর কমিশনার সন্তুষ্ট হলে সময় বৃদ্ধির আবেদন মঞ্জুর করতে পারেন। তবে সময় বৃদ্ধি করলেও অতিরিক্ত সময়ের জন্য বিলম্ব সুদ দিতেই হবে।

সময় বৃদ্ধির ফর্মে যা থাকে

সময় বৃদ্ধির আবেদন ফর্মে দুটি অংশ থাকে। একটি অংশ করদাতার জন্য। এবং একই তথ্যের আরেকটি অংশ কর কর্মকর্তার জন্য।

মাত্র দুই পাতার এই আবেদন ফর্মে করদাতার নাম, ঠিকানা, টিন নাম্বার, সার্কেল, কর অঞ্চল, কত দিন সময় বৃদ্ধি করতে চান, সময় বৃদ্ধির কারণ ইত্যাদি তথ্য দিতে হয়।

তার নিচে করদাতার নাম লিখে স্বাক্ষরের স্থানে স্বাক্ষর ও তারিখ লিখে প্রদান করতে হয়।

আর একদম নিচে কত দিন সময় বৃদ্ধি করা হল তা উল্লেখ করে কর অফিসের অন্তর্ভূক্তি নাম্বার লিখে উপ কর কমিশনারের স্বাক্ষর এবং সিল দিয়ে করদাতাকে একটি অংশ ফেরত দিয়ে আরেকটি অংশ কর অফিস রেখে দেয়।

বিলম্ব সুদের হার

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে ব্যর্থ হলে করদাতাকে মাসিক শ শতকরা দুই টাকা হিসেবে বিলম্ব সুদ দিতে হবে।

নীট কর দায়ের সঙ্গে নির্ধারিত সুদ যোগ করে রিটার্নের সঙ্গে জমা দিতে হয়।

বিলম্ব সুদ গণনা করা হয় মোট কর দায় থেকে উৎস করসহ অগ্রিম কর বাদ দিয়ে যে নীট কর দায় থাকে তার উপর। এবং এই সুদ গণনা শুরু হবে নির্ধারিত সময়ের পর থেকে।

অন্যান্য বছর এটা শুরু হত কর দিবসের পরের দিন অর্থাৎ ০১ ডিসেম্বর থেকে যে দিন রিটার্ন দাখিল করা হয়েছে সেদিন পর্যন্ত।

এবার যেহেতু রিটার্ন দাখিল করার সময় বৃদ্ধি করে ২ ডিসেম্বর করা হয়েছে তাই সুদ গণনা শুরু হবে ৩ ডিসেম্বর থেকে রিটার্ন দাখিলের দিন পর্যন্ত।

বিলম্ব সুদ হিসাব করার পদ্ধতি

বিলম্ব সুদ গণনা করা খুবই সহজ।

প্রথমে বের করতে হবে আপনার কাছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর হিসেবে কত পাবে। তা থেকে অগ্রিম এবং উৎসে কর বাদ দিয়ে নীট কত পাবে তা বের করতে হবে। এভাবে যে অংকটা বের হবে তার উপর ২% সুদ গণনা করবেন।

যদি দুই মাস সময় বৃদ্ধির আবেদন করেন এবং তা যদি উপ কর কমিশনার আনুমোদন দেয় তাহলে উপরে যে সুদ বের হয়েছে তাকে দুই দিয়ে গুণ করে যে টাকা বের হবে তা আপনার কর দায়ের সঙ্গে যোগ করুন।

এই টাকাটাই পে অর্ডার/ চালান/ ব্যাংক ড্রাফট করে দরকারী কাগজপত্র রিটার্নের সঙ্গে জমা দিলেই রিটার্ন দাখিল হয়ে যাবে।

লেখক: জসীম উদ্দিন রাসেল। চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট।

আরও পড়ুন