ভারতীয় একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে জানানো হয়, দুগ্ধজাত এই দুটি খাবারের মধ্যে ঘি দিয়ে পরোটা ভাজাই ভালো। কারণ,
ঘি
ওজন বাড়ানো ও অস্বাস্থ্যকর হওয়ার জন্য দায়ী করা হলেও এর আছে নানান গুণ। এর ভালো চর্বি ত্বকের জন্য উপকারী। শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
মাখন
দুধের সর থেকে মাখন তৈরি করা হয়। তবে বাজারে যেসব মাখন কিনতে পাওয়া যায় তাতে পানির মধ্যে দুধের চর্বি ও দুধের প্রোটিন মেশানো থাকে। তাছাড়া মাখন প্রক্রিয়াজাত এবং লবণ মেশানো হয়।
পুষ্টিগুণ
ঘি প্রক্রিয়াজাত নয় এবং এতে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন এ থাকে।
অন্যদিকে মাখনে কেবল ভিটামিন এ থাকতে পারে।
১০০ গ্রাম ঘি’তে আছে ৯০০ কিলো-ক্যালরি। থাকে না কোনো ট্রান্স ফ্যাট; আছে ৬০ শতাংশ স্যাচারেইটেড ফ্যাট।
অন্যদিকে ১০০ গ্রাম মাখনে থাকে ৭১৭ কিলো-ক্যালরি, ৩ গ্রাম ট্রান্স ফ্যাট এবং ৫১ শতাংশ স্যাচারেইটেড ফ্যাট।
কোনটা ভালো
যে কোনো জিনিস যখন পুড়ে যায় তখন ধোঁয়া হয়। যাকে বলে ‘হাইয়ার স্মোকিং পয়েন্ট’। অর্থাৎ যে পরিমাণ তাপে পদার্থটি পুড়ে নষ্ট হয়ে ধোঁয়া বের হবে সেটাই ওই পদার্থের দাহ্য হওয়ার মাত্রা।
সেই হিসেবে ঘিয়ের দাহ্য হওয়ার মাত্রা বেশি। অর্থাৎ অল্পতেই পুড়ে গিয়ে ধোঁয়া ওঠে না।
তাই পরোটা ভাজতে ঘি ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।
পরামর্শ
ঘি কেনার সময় খেয়াল রাখবেন তাতে ‘ভেজিটেবল ঘি’ লেখা আছে কিনা। ভেজিটেবিল ঘি ঐতিহ্যবাহী ঘি নয় এবং এর কোনো স্বাস্থ্যোপকারিতা নেই।
সংরক্ষণ পদ্ধতি
ঘরে তৈরি ঘি ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় তিন মাস বায়ুরোধী পাত্রে রাখা যায়।
মাখন সাধারণত রেফ্রিজারেইটরে বছরের অনেকটা সময় সংরক্ষণ করা যায়। আর এটাই সঠিক সংরক্ষণ পদ্ধতি।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন