সোয়েটার জ্যাকেটে যত না ওজন বাড়ে তার চেয়েও বেশি দেহের ওজন বাড়ে শীতের আরামদায়ক পরিবেশ আর মুখরোচক খাবারে।
তাই নভেম্বর মাস থেকেই গ্রহণ করুন এমন সব কৌশল যা আপনার দেহে ‘শীতকালীন চর্বি’ জমা থেকে রক্ষা করবে।
খিচুড়ি: শীতকালে অযথা ওজন বৃদ্ধি এড়াতে চাইলে দুপুরের খাবারে বেছে নিতে হবে সহজেই হজম হয় এমন খাবার। বেশিরভাগ সময় রোগীদের খিচুড়ি খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এই খাবার পেটের কাজকে সহজ করে দেয়।
চিপস এবং এই ধরনের খাবার: প্রক্রিয়াজাত এবং প্যাকেটজাত খাবার থেকে একেবারেই দুরে থাকতে হবে এই ঋতুতে। দুঃসাধ্য হলেও এই চেষ্টায় থাকতে হবে। তাই অলস সময় কাটাতে চিপসের প্যাকেট না খুলে ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
শরীরচর্চায় পরিবর্তন করুন: শীতকালে শরীর-মন কোনোটাই যেন শরীরচর্চায় সায় দেয় না। বিছানা ছাড়তেই মন চায় না, আবার কিসের শরীরচর্চা। তবে পুরোপুরি শরীরচর্চা বাদ দিলেও চলবে না। তাই দৈনন্দিন কাজের মধ্যেই শরীরচর্চার ব্যবস্থা করতে হবে। সেটা হতে পারে লিফটের বদলে সিঁড়ি বেড়ে ওঠা, একদিন হেঁটে ঘরে ফেরা, এমনকি ঘেরের কোনে প্রিয় গানের তালে নাচও।
আর শীতের মধ্যে এসব করলে ঠাণ্ডায় দেহে গরমও হবে।
রোদ পোহানো: ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠলে নাকি স্বাস্থ্যবান, ধনবান আর জ্ঞানী হওয়া যায়। ধনবান কতটা হওয়া সম্ভব তা নিয়ে সংশয় থাকলেও স্বাস্থ্যবান হওয়ার বিষয়টা শতাভাগ সম্ভব। তাই ভোরে ঘুম থেকে উঠে রোদ পোহাতে বেরিয়ে যেতে পারেন। এতে শরীরের জৈবিক ঘড়ি সক্রিয় হবে, বাড়বে বিপাকক্রিয়ার গতি।
মানসিক স্বাস্থ্য: মানসিকভাবে অস্বস্তিতে থাকলে খেতে মন চায়, বিশেষ করে সেইসব মুখোরোচক খাবার যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই খাবারগুলোর স্বাদের মোহ সাময়িক আনন্দ দিলেও, এতে থাকা বাড়তি ক্যালরি শরীরে থেকে যায় দীর্ঘসময়। তাই খাবারে মনোযোগ কমিয়ে মন ভালো রাখায় মনোযোগ দিন।
সুপ: প্রতিদিন সুপ খাওয়ার একটি ভালো সময় হল শীতকাল। এতে ক্যালরি কম এবং অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে। রাতের খাবারটা হালকা হওয়াই উচিত। আর সুপ সেক্ষেত্রে আদর্শ। খাবারটা যেমন হালকা তৈরির ঝক্কিও তেমন কম।
ছবির মডেল: বন্যা। আলোকচিত্র: রাইনা মাহমুদ। বিন্যাস ও পরিকল্পনা: আলি আফজাল নিকোলাস। সৌজন্যে: ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও।
আরও পড়ুন