সাজসজ্জা-বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে মেইকআপের মাধ্যমে পোড়াদাগ ঢাকার কয়েকটি পন্থা এখানে দেওয়া হল।
সিলিকন প্রাইমার নির্বাচন: ফাউন্ডেশনের ভিত্তি হল প্রাইমার এবং এটা মেইকআপ মসৃণ ও দীর্ঘস্থায়ী হতে সাহায্য করে। পোড়াদাগ লুকাতে ক্রিম, জেল বা পাউডারের মধ্যে ক্রিমধর্মী প্রাইমার বেছে নেওয়া ভালো। কারণ বেশিরভাগ ক্রিমধর্মী ফাউন্ডেশনের কাভারেজ ভালো থাকে। এক একটা দাগের ধরন আলাদা। তাই ত্বকের সবজায়গায় সামঞ্জস্য বজায় রাখতে প্রাইমার ব্যবহার করুন। সিলিকন প্রাইমার ত্বকের যে কোনো দাগ ঢেকে ত্বক মসৃণ দেখাতে সাহায্য করে। এক ফোটা প্রাইমার হাতে নিয়ে দাগের ওপর হাত অথবা ব্রাশের সাহায্যে ছড়িয়ে দিন।
কালার কারেক্টর: ছোট দাগ থাকলে তা ঢাকতে কালার কারেক্টর ব্যবহার করতে পারেন। ঘন ও ক্রিম-ধর্মী কারেক্টর ব্যবহার করুন। এটা ভালো কাজ করে। লালচে পোড়াদাগ লুকাতে হালকা সবুজ রংয়ের কারেক্টর উপযোগী। পোড়াদাগ খানিকটা নীলচে হলে এতে হলদে কারেকটর লাগান। আর পোড়াদাগ যদি হলদে হয় তাহলে এতে ল্যাভেন্ডার কারেক্টর লাগান।
কন্সিলার ব্যবহার: কালার কারেক্টরের পর উপরে কন্সিলার লাগিয়ে নিন। ঘন ক্রিমের কন্সিলার পোড়াদাগ দূর করতে ভালো কাজ করে। আবহাওয়ার জন্য যেন মেইকআপ নষ্ট না হয় সেজন্য তরল-ধর্মী কন্সিলার বেছে নিন। দাগের উপর সামান্য কন্সিলার নিয়ে ব্রাশের সাহায্যে তা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
ফাউন্ডেশন: ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। প্রথমে প্রাইমার, কালার কারেক্টর এবং কন্সিলারের পরে ফাউন্ডেশন লাগান। ক্রিম-ধর্মী প্রাইমার ও কারেক্টর ব্যবহার করলে তরল ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। চাইলে পাউডার ফাউন্ডেশনও ব্যবহার করতে পারেন।
ফেইস পাউডার: কালার কারেক্টার ও কন্সিলার না থাকার পরেও যদি দাগ দূর করতে চান তাহলে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডারের সাহায্য নিতে পারেন। প্রাইমার ও ফাউন্ডেশন ব্যবহারের পর ফেইস পাউডার ব্যবহার করেও চমৎকার ফলাফল পেতে পারেন।
আরও পড়ুন